নিয়মিত কফি পানে কি স্মৃতিশক্তি বাড়ে?

সকালবেলা সংবাদপত্রের সাথে এক মগ ধোওয়া ওঠা কফি না হলে সকালটা যেন ঠিকঠাক জমে না। আবার অফিস কিংবা পরীক্ষার চাপে মাথা যখন কাজ করে না, সুন্দর করে বানানো এক মগ কফিই চাঙ্গা করে দেয় শরীর,মন দুটোই। কফির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছেই।

শুধু যে স্বাদেই এর সুনাম তা কিন্তু নয়, গুণের দিক থেকেও কফির আছে নানা সুনাম। 

কফির গুণের বিষয়ে কোন তথ্যগুলো আলোচিত?

গত ৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে Tahsin M khan নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে “কফি তে…-চর্বি কমায়। -স্মৃতিশক্তি বাড়ায়…” শীর্ষক শিরোনামে একটি পোস্ট করা হয়।

Screenshot from TAhsin M khan’s Facebook profile

পোস্টে বলা হয়েছে কফি চর্বি কমায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, যকৃত সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ভিটামিন বি-৩,৫ ও ১২, অ্যান্টি অক্সিডেন্টের এর যোগান দেয়, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়, পারকিনসন্স ও অ্যালঝেইমার এর ঝুঁকি কমায়, ক্যানাসের ঝুঁকি কমায়।

এরকম আরও কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানেএখানে

কফি কী?

কফি মূলত কফি চেরি নামের একটি ফলের বীজ। যা শুকিয়ে, ভেজে, গুঁড়ো করে বাজারজাত করা হয়। পৃথিবীজুড়ে ৭০টি দেশে কফি উৎপাদন হয়। ইথিওপিয়ার কাফা অঞ্চলে কফি প্রথম আবিষ্কৃত হয়। বর্তমানে ইথিওপিয়ার পাশাপাশি ব্রাজিল, কলোম্বিয়া, এল সালভেদর, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার কফিও খুব জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও কফির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে বছরে ১৩০০ টন কফি পান করা হয়

কফিতে কী কী রাসায়নিক উপাদান আছে?

কফির প্রধান উপাদান হল ক্যাফেইন, ট্যানিন, ফিক্সড অয়েল, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন। এতে 2-3% ক্যাফেইন, 3-5% ট্যানিন, 13% প্রোটিন এবং 10-15% তেল রয়েছে। ক্যাফেইন কফি বীজে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড (CGA)-এর লবণ হিসাবে উপস্থিত থাকে। এছাড়াও এতে মোম রয়েছে।

Intechopen.com এ ২০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে Federal University of Viçosa এর একজন গবেষক ও অধ্যাপক Dalyse Toledo Castanheira এর লেখা ‘Coffee – Production and Research’ বইয়ের কিছু অংশ “A Detail Chemistry of Coffee and Its Analysis” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।

Screenshot from intechopen.com

বইটিতে বলা হয়েছে কফিতে থাকা প্রধান রাসায়নিক উপাদানগুলো হচ্ছে- ক্যাফেইন, টানিন, থায়ামিন, জ্যানথাইন, স্পারমিডাইন, গুয়াইয়াকল, সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, অ্যাসিটালডিহাইড, স্পারমাইন, পুট্রেসাইন ও স্কোপোলেটিন। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের খণিজ, শর্করা ও সুগন্ধি প্রধান উপাদান রয়েছে।

কফি কি সত্যিই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে?

মেরিল্যান্ডের বেথেসডায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম বায়োমেডিকাল লাইব্রেরি ‘National Library of Medicine’ এর ওয়েবসাইটে ১৪ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে “Caffeine Enhances Memory Performance in Young Adults during Their Non-optimal Time of Day” শীর্ষক শিরোনামে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়।

Screenshot from National Library of Medicine

এই গবেষণায় গবেষকরা দুই ধরণের পরীক্ষা করেন একদল শিক্ষার্থীর উপর। প্রথম পরীক্ষাটিতে তারা শিক্ষার্থীদের সকালে ও বিকেলে কফি পান করার পর স্মৃতি শক্তির পরীক্ষা নিয়েছে। এই স্মৃতির পরীক্ষা স্পষ্ট স্মৃতি ও অন্তর্নিহিত স্মৃতি– এই দু’রকম পরীক্ষা ছিলো। একটি ছিলো স্পষ্ট স্মৃতির পরীক্ষা (যে বিষয়গুলো আমারা সচেতনভাবে মনে রাখি। যেমন- কোনো কিছু মুখস্থ করে যে প্রক্রিয়ায় আমরা তা মনে রাখি) , আরেকটি ছিলো অন্তর্নিহিত স্মৃতির পরীক্ষা (যে তথ্যগুলো আমাদের এমনিতেই মনে থাকে। যেমন- কীভাবে সাইকেল চালাতে হয়, বা লেখা দেখে পড়তে হয়)। 

এই পরীক্ষায় দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সকালে কফি পানের ফলে স্পষ্ট স্মৃতির পরীক্ষায় ভালো করেছে, তবে বিকেলে কফি পান স্মৃতি শক্তিতে কোনো প্রভাব ফেলে নি। অন্যদিকে সকাল- বিকাল দুই সময়ই কফি পান অন্তর্নিহিত স্মৃতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

দ্বিতীয় পরীক্ষাটিতে শিক্ষার্থীদের কার্ডিওভাস্কুলার ব্যায়াম করানোর পর স্মৃতির পরীক্ষা নেওয়া নয়। দেখা যায়, এই ব্যয়াম স্মৃতিতে কোনো প্রাভব ফেলতে পারেনি। 

দুই পরীক্ষার ফলাফল দেখে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে সকালবেলা কফি পানে স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়। 

আমেরিকার প্রথম গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ‘John Hopkins University’ এর ওয়েবসাইটে ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে “Caffeine has positive effect on memory, Johns Hopkins researchers say” শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

Screenshot from John Hopkins University website

প্রতিবেদনের Nature Neuroscience এ “Post-study caffeine administration enhances memory consolidation in humans” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি গবেষণার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।

Screenshot from nature.com

গবেষণা দলটির সদস্য Michael Yassa ( সহকারী অধ্যাপক, সাইকলোজিক্যাল ও ব্রেইন সায়েন্স বিভাগ, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, “আমরা এই গবেষণায় দুইটি দলকে আমরা বেশ কিছু ছবি দেখাই। পাঁচ মিনিট পর এক দলকে ক্যাফেইন দিই, অন্য দলকে দিই প্লাসেবো। পরেরদিন দুই দলেরই আগের দিনের ছবিগুলো চিনতে পারার ক্ষমতার একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেখানে কিছু ছবি ছিলো যেগুলো আগের দিন দেখানো হয়েছিলো, কিছু ছিলো যেগুলো দেখতে অনেকটাই আগের দিন দেখানো ছবির মতো, আর কিছু ছিলো একেবারেই নতুন যেগুলো আগের দিন দেখানো হয়নি। এবার দেখা যায় যে দলকে ক্যাফেইন দেওয়া হয়েছিলো তারা আগের দিনের ছবিগুলোর কাছাকাছি যে ছবি সেগুলোকে “সেইম” না বলে “সিমিলার” বলেই ধরতে পারেন। তবে যাদেরকে প্লাসেবো দেওয়া হয়েছিলো তারা কাছাকাছি ছবিগুলোকে “সেইম”ই বলেছেন।

 অর্থাৎ, ছবিতে যে সামান্য পার্থক্য আছে তা তারা ধরতে পারেননি। এই কাছাকাছি দেখতে বস্তু বা ছবির মধ্যে পার্থক্য করাকে বলে প্যাটার্ন সেপারেশন। প্যাটার্ন সেপারেশন বিষয়টি ডিফিকাল্ট। এবং ক্যাফেইন এই ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তির উন্নতি দেখাতে পেরেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি ক্যাফেইন গ্রহণে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায়। ক্যাফেইন আলঝেইমারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমায়। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে আমাদেরকফি পানের ফলে কেন আমাদের স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায় সেই ব্রেইন ম্যাকনিজটা বুঝতে পারা।” 

“National Library of Medicine” এর ওয়েবসাইটে ১৬ আগস্ট ২০০৬ তারিখে “Coffee consumption is inversely associated with cognitive decline in elderly European men: the FINE Study” শীর্ষক শিরোনামে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়।

Screenshot from National Library of Medicine

গবেষণায় বলা হয়, যারা নিয়মিত কফি খায় এবং যারা খায় না তাদের উপর ১০ বছর পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যারা নিয়মিত কফি খায় তাদের কোনো কিছু ভুলে যাবার প্রবণতা যারা কফি খায় না তাদের থেকে ৪.৩% কম।

অর্থাৎ, নিয়মিত কফি পান স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কফির অন্যান্য উপকারিতা কী কী?

স্মৃতিশক্তি বাড়ানো ছাড়াও কফির আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে। চর্বি কমানো, মৃত্যু ঝুঁকি কমানো, আলঝেইমার রোগ ও পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমানোসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যায় নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কফি পানে।

কফি মানুষের আয়ু বৃদ্ধি করে

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ‘ACPJournal’ এ ৩১ মে ২০২২ তারিখে “Sweetened and unsweetened coffee consumption associated with lower death risk” শীর্ষক শিরোনামে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

Screenshot from ACPJournal

এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, একটি সমীক্ষায় ৭ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন দেড় কাপ থেকে সাড়ে তিন কাপ কফি খায় তাদের মৃত্যু ঝুঁকি যারা কফি খায় না তাদের তুলনায় কম। চীনের গোয়াংজুতে অবস্থিত সাউদার্ন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই গবেষণাটি করেন। তারা বলেন ৭ বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যারা চিনি বা অন্য কোনো মিষ্টি না মিশিয়ে কফি খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি যারা কফি খান না তাদের চেয়ে ১৬% থেকে ২১% কম। অন্যদিকে যারা চিনি বা অন্য যেকোনো মিষ্টি মেশানো কফি খান তাদের মৃত্যু ঝুঁকি যারা কফি খান না তাদের থেকে ২৯% থেকে ৩১% কম।

কফি ওজন কমাতে সাহায্য করে

কফি চর্বি কাটাতে সাহায্য করে। কফিতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খণিজ উপাদান। যেমন- পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পেশীর কার্যকারিনা ও হৃদযন্ত্রের উন্নতি ঘটায়। এছাড়া কফির মূল উপাদান ক্যাফেইন বিপাক ক্রিয়া বা হজমে সাহায্য করে। 

কফি একটি কম ক্যালরিযুক্ত পানীয়। এক কাপ ব্ল্যাক কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে ৫ এর চেয়েও কম। কফি হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে পারে এবং ক্ষুধা কমাতেও সাহায্য করে। ফলে ওজন কমানো বা চর্বি কাটানোর জন্য কফি বেশ উপকারী একটি উপাদান।

তবে শুধু ব্ল্যাক কফিই চর্বি কাটাতে পারে। এর সাথে চিনি, ক্রিম, দুধ এসব যোগ করলে তখন পানীয়টির ক্যালরি বেড়ে যাবে। ফলে তা আর ওজন কমাতে সাহায্য করবে না। মার্কিন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‘insider’ এ ১২ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে “Why black coffee is a great drink for weight loss” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশীত প্রতিবেদনে এমনটাই উল্লেখ আছে।

Screenshot from insider

কফি আলঝেইমার ও পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমায়

আলঝেইমার ও পারকিনসন্স এমন দু’টি রোগ যার কোনো প্রতিকার এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। আলঝেইমার রোগটি ডাইমেনশিয়া রোগের শুরুর অবস্থা। ডাইমেনশিয়া হচ্ছে এমন একটি রোগ যেখানে মানুষ সবকিছু ভুলে যায় ধীরে ধীরে। প্রথমে ছোটো বিষয়গুলো ভুলে যাওয়া শুরু হয় ধীরে মানুষ নিজের নাম পরিচয়, আশেপাশের মানুষকে ভুলে যেতে শুরু করে। একসময় গিয়ে কীভাবে হাটতে চলতে হয় তাও ভুলে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত কফি পান করে তাদের মাঝে আলঝেইমার রোগে আক্রাযন্ত হওয়ার ঝুঁকি ৬৫% কম।

Screenshot from healthline

অন্যদিকে পারকিনসন্স হচ্ছে এমন একটি রোগ যেখানে রোগীর শরীরের পেশীর উপর মানুষ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। শরীরে অনিয়ন্ত্রিত কাপুনি হতে থাকে। এ রোগটিও শুরুতে কম থাকে এবং ধীরে বাড়তে শুরু করে যখন রোগী নিজে নিজে কোনো কাজ করতে পারে না। সামান্য একটা মগ ধরার মতো কাজও তখন রোগীর কাছে অনেক কঠিন হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কফি পানে এই রোগে আক্রন্ত হওয়ার ঝুঁকিও ২৯% কমে যায়। 

Screenshot from healthline

অর্থাৎ, কফি স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। চর্বি কমানো, মৃত্যু ঝুঁকি কমানো, আলঝেইমার রোগ ও পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকি কমানোসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যায় নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে কফি পানের ফলে। 

কফির কি কোনো ক্ষতিকর দিক নেই?

পরিমিত পরিমাণে কফি পান স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হলেও অতিরিক্ত কফি পানে দেখা দিতে পারে নানা ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত কফি পান কারণ হতে পারে আপনার অ্যাংক্সাইটি, অনিদ্রা, বদহজম, পেশী ভাঙ্গন, উচ্চ রক্ত চাপ, হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি, ক্লান্তির মতো শারীরিক সমস্যা গুলোর।

Screenshot from healthline

হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ক্যাফেইন গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে, খুব বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণে এমন অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে যা প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় হস্তক্ষেপ করে, এমনকি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। তাই ক্যাফেইনের উপকারিতা পেতে চাইলে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন গ্রহণ না করে পরিমিত পরিমাণে কফি পান করার অভ্যাস করতে হবে।

মূলত, পরিমিত পরিমাণে কফি পান স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কফি একটি কার্যকরী পানীয়। শুধু স্মৃতিশক্তি বাড়ানোই নয়, মেদ কমানো, পারকিনসন্স ও আলঝেইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমানো, আয়ু বৃদ্ধির মতো উপকারী গুণ আছে কফির। তবে, এই গুণগুলো তখনই উপভোগ করা যাবে যখন নিয়মিত পরিমিত পরিমাণ কফি গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে কফি গ্রহণে আবার দেখা দিতে পারে নানা ধরণের সমস্যা। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কফি পান অনিদ্রা, বদহজম, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা ধরণের স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হতে পারে।

সুতরাং, কফি স্মৃতিশক্তি বাড়ানোসহ স্বাস্থ্যের জন্য আরও অনেকভাবে উপকারী। তবে, নিয়মিত পরিমিত পরিমাণ কফির বদলে যদি অতিরিক্ত কফি পান করা হয় তাহলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাও কম নয়।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img