বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান জামিনে মুক্তি পাননি 

সম্প্রতি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

আমান উল্লাহ আমান

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আমান উল্লাহ আমান জামিনে মুক্তি পাননি বরং তিনি গত ১০ জানুয়ারি একটি মামলায় জামিন পেলেও দুর্নীতির মামলায় জামিন না পাওয়ায় কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। 

অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে মূলধারার সংবাদমাধ্যম এনটিভি এর ওয়েবসাইটে গত ১০ জানুয়ারি “নাশকতার মামলায় জামিন পেলেন বিএনপিনেতা আমান” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এক মামলায় আমানউল্লাহ আমানের জামিন দিয়েছেন আদালত।  

তার আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ‘এখন পর্যন্ত আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে দুই শতাধিকের বেশি মামলা রয়েছে। একটি বাদে সব কয়টি মামলায় তিনি জামিন রয়েছেন। এই মামলায় জামিন হলে আশা করি তিনি কারা মুক্তি পাবেন।’

অর্থাৎ, আমান উল্লাহ আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভাষ্যমতে তিনি একটি মামলায় এখনও জামিন না পাওয়ায় এখনই তার মুক্তি মিলছে না। 

একই তথ্য সম্বলিত আরো কিছু প্রতিবেদন দেখুন ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত।

মূলত, গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আমান উল্লাহ আমান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আদালতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১০ জানুয়ারি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের একটি মামলায় তার জামিন হয়। এরইমধ্যে জামিনে মুক্তি পেলেন আমান উল্লাহ আমান- শীর্ষক দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আমান উল্লাহ আমান একটি মামলায় জামিন পেলেও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি বরং আরো একটি মামলায় জামিন না পাওয়ায় তিনি এখনও কারাগারেই রয়েছেন  

সুতরাং, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান জামিনে মুক্তি পাওয়ার তথ্যটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img