চাঁদা না পেয়ে বিএনপি নেতা কর্তৃক বাসে অগ্নিসংযোগ দাবিতে ২০২৩ সালের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার

সম্প্রতি ‘এবার চাঁ*দা না পেয়ে বিএনপির নেতা বাসে আ/গুন দিয়ে পুড়িয়ে দিলো’ ক্যাপশনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি চাঁদা না পেয়ে বিএনপি নেতা কর্তৃক আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোর কোনো ঘটনার নয় বরং, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির দিন অজ্ঞাত দুই যুবক কর্তৃক বাস পোড়ানোর একটি পুরোনো ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। 


এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ‘আগুনে জ্বলছে বাস; চালকের আহাজারি’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যাবলীর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রায় সাড়ে ৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের মূল ভিডিওটির ০০:০৮ থেকে ০০:৩৫ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তিকে তার বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে আহাজারি করতে দেখা যায়। 

এ বিষয়ে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বাংলা ভিশনের ওয়েবসাইটে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ‘আগুনে জ্বলছে বাস, চালকের আহাজারি’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই চিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, সেদিন বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের ভেস্ট পরে মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবক রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় চালকের সামনে ঢাকা-কুমিল্লা রুটের এশিয়ান পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়। বাসচালক মনির হোসেন বলেন, ‘পুলিশ বাসটি রিকুইজিশন নিয়েছিল। আমি বিকাল ৫টার দিকে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে কাকরাইল আসি। পুলিশ নেমে যাওয়ার পর দুই যুবক এসে বাসে আগুন ধরিয়ে দেন।’ 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট বিভিন্ন দাবিতে ঢাকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করে।

সুতরাং, চাঁদা না পেয়ে বিএনপি নেতা কর্তৃক বাসে আগুন দেওয়ার এই দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img