সম্প্রতি, “ইউনুস বাহিনীর ফিল্ম স্টাইলে অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজির ভিডিও.. এদের কারণে দেশের মানুষ শান্তিতে নেই” শিরোনামে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন: এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজির দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার না। প্রকৃতপক্ষে, চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতের পাটনায় চন্দন মিশ্র নামক এক গ্যাংস্টারকে হাসপাতালে ঢুকে কতিপয় সশস্ত্র ব্যক্তি কর্তৃক হত্যার ঘটনায় ধারণকৃত একটি ভিডিওকে সম্প্রতি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি থেকে প্রাপ্ত কী-ফ্রেম রিভার্স সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘NDTV’ এর ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বছরের ১৭ জুলাই “Patna Hospital Gang War | 5 Men With Guns, A Murderer On Parole Shot Dead In Hospital” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওতে থাকা দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের হুবহু মিল রয়েছে।

ভিডিওর বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ভারতের পাটনায় পারাস এইচএমআরআই হাসপাতালে পাঁচ বন্দুকধারী ঢুকে কুখ্যাত আসামি চন্দন মিশ্রকে গুলি করে হত্যা করেছে। চন্দন মিশ্র চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্ত ছিলেন, পুলিশ বলছে ঘটনাটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের হামলা।
উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘Republic TV’ এর ওয়েবসাইটে আলোচিত বিষয়ে একই তারিখে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১৭ জুলাই “Man Arrested For Killing Gangster At Patna Paras Hospital, All Five Accused Identified” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনটির বিস্তারিত বিবরণীতেও একই তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভারতীয় পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত তৌসিফ বাদশাসহ পাঁচজন বন্দুকধারীকে শনাক্ত করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, আলোচিত এই ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয় তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে।
সুতরাং, বাংলাদেশে ফিল্ম স্টাইলে অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা দাবিতে ভারতের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে, যা মিথ্যা।