গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে “কিছু সংখ্যক জঙ্গি পুলিশ গোপালগঞ্জের উপর দোষ চাপানোর জন্য তারা নিজেরাই নিজেদের থানা পুড়িয়ে দিয়েছে। প্রশাসন সাবধান ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে সারাবাংলা গোপালগঞ্জ হবে” শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গোপালগঞ্জের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি গত ১৪ জুলাই বরগুনায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে লাগা অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ‘Shamim Reza’ নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৪ জুলাইয়ে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও’র সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

পরবর্তীতে, উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় দৈনিক কালবেলার ওয়েবসাইটে গত ১৪ জুলাই ‘বরগুনায় নির্বাচন অফিসে আগুন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটির ফিচারে সংযুক্ত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর দৃশ্যের মিল পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনের বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই (সোমবার) সকাল ৭টার দিকে বরগুনায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে বিভিন্ন কাগজপত্রসহ কয়েকটি কম্পিউটার ও বিভিন্ন আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে।
এছাড়া, একই বিষয়ে দেশিয় মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম ডিবিসি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিও প্রতিবেদনেও আলোচিত ভিডিওর বিষয়ে একই তথ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, প্রচারিত অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওটি গোপালগঞ্জের নয়।
সুতরাং, বরগুনায় জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে লাগা অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্যকে গোপালগঞ্জে পুলিশ নিজেই থানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।