সম্প্রতি, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা “জুলাই বিপ্লবিরা গতকাল সারারাত আমাকে চুদেছে” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে দৈনিক যুগান্তরের লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাসনিম জারা আলোচিত মন্তব্যটি করেননি এবং উক্ত শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরও কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, তাসনিম জারার ভিন্ন মন্তব্য সম্বলিত যুগান্তরের ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তার সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে যুগান্তরের লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ ২৩ মে, ২০২৫ উল্লেখ পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে যুগান্তরের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি অন্য কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, যুগান্তরের ফেসবুক পেজে গত ২৩ মে ‘জুলাই বি’প্ল’বের পর গত রাতটি ছিল সবচেয়ে কঠিন: তাসনিম জারা’ শীর্ষক তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে উক্ত ফটোকার্ডের শিরোনাম ব্যতিত বাকি সকল উপাদানের মিল রয়েছে। যুগান্তরের মূল ফটোকার্ডটিতে ‘জুলাই বি’প্ল’বের পর গত রাতটি ছিল সবচেয়ে কঠিন: তাসনিম জারা’ শীর্ষক বাক্য থাকলেও প্রচারিত ফটোকার্ডটিতে এর পরিবর্তে ‘জুলাই বিপ্লবিরা গতকাল সারারাত আমাকে চুদেছে: তাসনিম জারা’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।
অর্থাৎ, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যুগান্তরের ফটোকার্ড সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
মূল ফটোকার্ড সম্বলিত যুগান্তরের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে পাওয়া গণমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩ মে তাসনিম জারা এক ফেসবুক পোস্টে উক্ত মন্তব্য করেন। তবে উক্ত পোস্টে তাকে আলোচিত দাবি সম্বলিত কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
সুতরাং, তাসনিম জারা ‘জুলাই বিপ্লবিরা গতকাল সারারাত আমাকে চুদেছে।’ শীর্ষক মন্তব্য করেছেন দাবিতে যুগান্তরের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।
তথ্যসূত্র
- Jugantor: Facebook Post