সম্প্রতি, অর্থের লোভে পড়ে কন্যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দেওয়া অপরাধ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
কথিত ভিডিওটিতে দেখা যায়, মেয়েটি বিয়েতে রাজি হতে অস্বীকৃতি জানানোর পরেও তাকে জোর করে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ উচ্চারণ করিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)
উক্ত দাবিতে ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সত্য কোনো ঘটনার নয় বরং, স্ক্রিপ্টেড বা অভিনীত ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি থেকে কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘Wedding Studio’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১৬ মে আপলোডকৃত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিরও মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

একই পেজ থেকে আপলোডকৃত আরও ভিডিও দেখুন এখানে, এখানে, এখানে। এছাড়াও, উক্ত ঘটনার প্রচারিত ছবি দেখুন এখানে।
উক্ত ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, পেজটি থেকে নিয়মিত বিনোদনমূলক কনটেন্ট প্রচার করা হয়।
এছাড়া, ফেসবুক পেজটির (Wedding Studio) ‘অ্যাবাউট’ বিভাগে দেখা যায়, পেজটির লোকেশন হিসেবে সৌদি আরবের রিয়াদ উল্লেখ করা হয়েছে। পেজটির ইন্ট্রোতে লেখা রয়েছে:
“হ্যালো বন্ধুরা, আমি দেলোয়ার। আমি সৌদি আরবে থাকি। আমরা কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ভিডিও আপলোড করি না, বরং স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ভিডিও তৈরি করি। আমরা কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান পরিচালনা করি না। আপনার কোনো অভিযোগ থাকলে দয়া করে আমাদের জানান।”

পেজটির ‘ট্রান্সপারেন্সি’ বিভাগ যাচাই করে দেখা গেছে, পেজটি বাংলাদেশ থেকে দুইজন ব্যক্তি পরিচালনা করেন। জানা যায়, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই পেজটি প্রথমে ‘Wedding Studio’ নামে তৈরি করা হয়। এরপর ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পেজটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘AN Media’। তবে, একই বছরের ১৮ এপ্রিল পেজটির নাম আবার পরিবর্তন করে পুরোনো নাম ‘Wedding Studio’ রাখা হয়।

অর্থাৎ, পেজটি পর্যবেক্ষণ করে এটা নিশ্চিত যে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড।
সুতরাং, স্ক্রিপ্টেড ভিডিওকে সত্য দাবিতে মেয়েকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।