বৃহস্পতিবার, মে 22, 2025

মোজোর ফিলিস্তিন ফান্ডে টাকা জমার জন্য কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে শীর্ষক দাবিটি গুজব

ফিলিস্তিন ও ইজরায়েলের চলমান ইস্যুতে ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশের আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এর কোমল পানীয় ব্র্যান্ড ‘মোজো’ ২০২৩ সালে ঘোষণা করে, মোজাে’র প্রতিটি বিক্রিত বোতলের জন্য এক টাকা করে ফিলিস্তিনে দান করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে ‘Mojo কিনলেই যে ফিলিস্তিন ১ টাকা পেয়ে যাবে এটা ভুল ধারণা আমাদের! মোজো খেলেই ১ টাকা যায় না।মোজো কিনে বোতলের গায়ে বারকোড স্ক্যান করতে হবে, তারপর ওকে লিখতে হবে। তবেই ১ টাকা তাদের দেশে যাবে।আপনি সারাদিন মোজো খেলেন তাতে কোন লাভ নেই।যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি বারকোড স্ক্যান করবেন না ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের একাউন্টে ১ টাকাও জমা হবে না। তাই যারা মোজো খাবেন অবশ্যই মোবাইল দিয়ে বারকোড স্ক্যান করে প্রসেস টা কমপ্লিট করবেন। সবাইকে জানিয়ে দিতে শেয়ার করে দেন।’ শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিস্তিন ফান্ডে ডোনেশনের জন্য মোজো কেনাই যথেষ্ট, এই ডোনেশনের সাথে মোজোর বোতলের গায়ের কিউআর কোড স্ক্যান করা কিংবা না করার কোনো সম্পর্ক নেই।

ফিলিস্তিন ফান্ডে টাকা জমা হওয়ার জন্য মোজো কিনে বোতলের কিউআর কোড স্ক্যান করতে হয় এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে রিউমর স্ক্যানার। 

অনুসন্ধানের শুরুতে কিউআর কোডে সংযুক্ত তথ্য দেখার জন্য গুগল লেন্স দিয়ে মোজোর বোতলের লেবেলের কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে সেখানে মোজোর ফিলিস্তিন এক টাকা উদ্যোগের যে ওয়েবসাইট, যেখানে ফান্ড আপডেট দেখা যায় সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল ‘wesupportpalestine.net’ পাওয়া যায়।

QR code scan using Google lens

এই QR কোড স্ক্যান করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে গিয়ে মূলত ফান্ডের আপডেট জানা যাবে। এতে এক টাকা যোগ হওয়ার কোনো বিষয় নেই। 

পরবর্তীতে মোজোর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে সতর্কতামূলক একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Facebook

মূলত, বাংলাদেশের আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এর কোমল পানীয় ব্র্যান্ড মোজো কর্তৃপক্ষ স্বচ্ছতা নিশ্চিতে এবং ফান্ড আপডেট দেখার বিষয়কে সহজ করতে বোতলের গায়ে ফান্ড আপডেটের জন্য তৈরি ওয়েবসাইটের ইউআরএল টি কিউআর কোড হিসেবে দিয়েছে। যাতে করে যে কেউ সহজেই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে সংগ্রহকৃত ফান্ডের পরিমাণ দেখতে পারেন। এটি স্ক্যান করা বা না করার সাথে ফিলিস্তিনের ফান্ডে টাকা জমা হওয়ার কোনোরকমের সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবি বানোয়াট তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সেসময় ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।

আরও পড়ুন

spot_img