সম্প্রতি, “২০২৪ সালের জন্য লটারিতে ৫৫ হাজার ভিসা দিচ্ছে আমেরিকা, ভাগ্য ভালো হলে আপনিও সুযোগ পেতে পারেন” শীর্ষক একটি দাবি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত দাবির কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের নাগরিকরা আমেরিকার ২০২৪ সালের ডাইভারসিটি ভিসায় (ডিভি লটারি) আবেদনের যোগ্য নয়। গত প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের নাগরিকদের এই লটারিতে আবেদনের অনুমতি নেই।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডিভি লটারির মাধ্যমে কোনো দেশ থেকে পাঁচ বছরে ৫০,০০০ এর বেশি লোক আমেরিকায় পাড়ি জমালে ঐ দেশ পরবর্তীতে আবেদনের যোগ্যতা হারায়। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তথ্য মতে, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি এই ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ ১৯টি দেশ।

এছাড়াও, ২০২৪ সালের ডিভি লটারির আবেদনের সময় ছিলো ৫ অক্টোবর, ২০২২ থেকে ৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত। এমনকি, ২০২৫ সালের ডিভি লটারির আবেদনের সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। এই আবেদনের সময়সীমা ছিলো ৪ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ৭ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত।

মূলত, প্রতিবছর চাকরি কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চান অনেকেই। দেশটিতে বৈধভাবে প্রবেশের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় ডিভি লটারি, যা গ্রিন কার্ড লটারি নামেও পরিচিত। প্রায় প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে চলে এর আবেদন প্রক্রিয়া। এরই প্রেক্ষিতে, ২০২৪ সালের ডিভি লটারির আবেদনের সময় ছিল ৫ অক্টোবর, ২০২২ থেকে ৮ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত। কিন্তু, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি এই ভিসার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছে বলে বাংলাদেশি নাগরিকরা গত প্রায় এক দশক আগেই এই লটারিতে আবেদনের যোগ্যতা হারিয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশিদের ডিবি লটারিতে আবেদনের সুযোগ আছে দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হলে সেসব দাবি মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।