সম্প্রতি ‘ভারতের কর্ণাটকে দ্বাদশ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করা হিজাব আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী তাবাসসুম শাইক দাবিতে গণমাধ্যমে একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের ফেসবুক পেইজে প্রচারিত এমন একটি প্রতিবেদন দেখুন ডিবিসি নিউজ (আর্কাইভ)।

একই গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাবাসসুম শাইক দাবিতে প্রচারিত ছবিটি তার নয়। প্রকৃতপক্ষে এই ছবিটি কর্ণাটক রাজ্যের মান্দ্যাইয়া জেলার পিইএস কলেজ অব আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্স কলেজের আরেক শিক্ষার্থী মুসকান খানের।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, ভারতীয় গণমাধ্যম Times of India তে ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ‘Hijab row: Complaint filed against outfit for announcing reward to Mandya girl‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ব্যবহৃত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।

ছবিটির বিস্তারিত বিবরণী থেকে জানা যায়, ছবির শিক্ষার্থীটির নাম মুসকান খান৷ তিনি কর্ণাটকের মান্দ্যাইয়া জেলার পিইএস কলেজ অব আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। এই শিক্ষার্থীর আরও কিছু ছবি দেখুন এখানে, এখানে।

অপরদিকে তাবাসসুম শাইক ছিলেন কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর Nagarathnamma Meda Kasturirangan Setty Rashtreeya Vidyalaya (NMKRV) College for Women এর শিক্ষার্থী।

অর্থাৎ, তাবাসসুমের ছবি দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ছবিটি ভিন্ন আরেক শিক্ষার্থীর।
মূলত, কর্ণাটকে হিজাব আন্দোলনে অংশ নেওয়া মুসকান খান এবং তাবাসসুম শাইক দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি। তবে সংবাদমাধ্যমে তাবাসসুমের ছবির সাথে মুসকানের ছবিও তাবাসসুম দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ভারতের কর্ণাটকের হিজাব আন্দোলনের তাবাসসুম শাইক দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সমগ্র ভারতে প্রথম হয়েছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে৷ তবে এ নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাবাসসুম শাইক দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সমগ্র ভারতে প্রথম হননি বরং তিনি নিজ প্রদেশ কর্ণাটকে মানবিক বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।
প্রসঙ্গত, একই সময়ে বাংলাদেশি একাধিক গণমাধ্যমে তাবাসসুম শাইক দাবিতে মুসকানের ছবি প্রচার করা হয়েছিল।
এ সম্পর্কিত রিউমর স্ক্যানারের বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।