সম্প্রতি, কাতার আওয়ামী লীগ সভাপতি কান ধরে উঠ বস করে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কাতার আওয়ামী লীগ শাখার তৎকালীন সভাপতি ও বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ওমর ফারুক চৌধুরীর কান ধরে উঠ বস করে দল থেকে পদত্যাগ করার তথ্যটি সঠিক নয় বরং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান কর্তৃক শ্যামল কান্তি ভক্ত নামে এক শিক্ষককে কান ধরে ওঠবোস করানোর প্রতিবাদে নিজেই কান ধরে ওঠ বস করেছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
মূলত, ২০১৬ সালের মে মাসে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে স্কুলটির দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শাসন করার সময় ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল। এই ঘটনায় দেশের সচেতন নাগরিকেরাও কান ধরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। এরই প্রেক্ষিতে কাতার আওয়ামী লীগ শাখার তৎকালীন সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীও কানে ধরা ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদ জানান। তবে তার কান ধরার এই ছবিটিই পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি কান ধরে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন দাবিতে প্রচার করা হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেননি বরং বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগ, কাতার শাখার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, পূর্বেও বিষয়টি ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় এটিকে মিথ্যা শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।