সম্প্রতি “মেয়েদের ক্লাব ফুটবল চালু করা উচিত। এতে তাদেরকে কারো দয়ার উপর চলতে হবে না।” শীর্ষক শিরোনামের একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মেয়েদের ক্লাব ফুটবল চালু করার দাবিটি বিভ্রান্তিকর বরং মেয়েদের ক্লাব ফুটবল ২০১১ সাল থেকে চালু আছে।
কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক জনকন্ঠে ২০২২ সালের ১৪ জুলাই প্রকাশিত “নারী ফুটবল লীগ জমজমাট করতে উদ্যোগ!” শীর্ষক শিরোনামের একটি সংবাদ পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম লীগ শুরু হয়েছিল।

এছাড়াও, জাতীয় গণমাধ্যম সময় টেলিভিশনে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী “২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে নারী ফুটবল” শীর্ষক শিরোনামের একটি সংবাদ পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী নারী ফুটবল লীগ শুধু হয়। অর্থাৎ, সম্প্রতি নারীদের ক্লাব ফুটবল চালু করার দাবিটি প্রচারিত হলেও ইতোমধ্যে নারী ফুটবল লীগ চালু আছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট চারবার (২০১১, ২০১৩, ২০১৯, ২০২০) নারী ফুটবল লীগ আয়োজিত হয়েছে। গত আয়োজনের চ্যাম্পিয়ন দল ছিলো বসুন্ধরা কিংস। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়।
প্রসঙ্গত, সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে একাদশ ও পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে মোট ১৪ জন মাঠে নামেন যাদের ১৩ জনই ক্লাব ফুটবলের বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়।

মূলত, সাফ ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নারীদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারীদের ফুটবলের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেন। এই ধারাবাহিকতায় নারীদের ক্লাব ফুটবল চালু করার দাবি উঠে। কিন্তু ২০১১ সাল থেকেই নারীদের ক্লাব ফুটবল প্রচলিত আছে। যে কারণে নারীদের ক্লাব ফুটবল চালু করার দাবিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
সুতরাং, নারীদের ক্লাব ফুটবল চালু করার দাবিটি বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- দৈনিক জনকণ্ঠ : নারী ফুটবল লীগ জনপ্রিয় করতে উদ্যোগ!
- সময় টিভি : ২২ ফেব্রুয়ারী শুরু হচ্ছে নারী ফুটবল
- দেশ রুপান্তর : নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেবে বসুন্ধরা কিংস