সম্প্রতি, অতিবৃষ্টির ফলে ভারতসহ বাংলাদেশের একাধিক অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এরই মাঝে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী নদীতে অবস্থিত ডম্বুর হাইড্রইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্টের ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফারাক্কা বাঁধ দাবিতে প্রচারিত একই ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি ডম্বুর বা ফারাক্কা বাঁধের নয় বরং, এটি ভারতের শ্রীশাইলম বাঁধের ভিডিও, যার সাথে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে Travel & Taste নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর Srisailam Reservoir 10 Gates Lifted | Heavy Flood Water Inflows Into Srisailam Project শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটি পর্যালোচনা করে আলোচিত ভিডিওর বাধের সাথে উক্ত ভিডিওর বাঁধের মিল পাওয়া যায়। দু’টো বাঁধেরই গঠনগত এবং পারিপার্শ্বিক উপাদানের মিল রয়েছে। এছাড়াও ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, এটি শ্রীশাইলম বাঁধের ভিডিও।
পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে NEELAM SANJEEVA REDDY SRISAILAM PROJECT এর ওয়েবসাইটে শ্রীশাইলম বাঁধ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইটটিতে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত ভিডিওর বাঁধের মিল লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ওয়েবসাইটটি থেকে জানা যায়, শ্রীশাইলম বাধটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণ নদীর মাহাবুবনগর, তেলেঙ্গানা এবং কর্নুল জেলার সীমান্তবর্তী অংশে নির্মিত। এর সাথে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিংবা বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কোনো সম্পর্ক নেই।
পাশাপাশি কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে বিবিসি বাংলা সূত্রে জানা যায়, সিকিম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানির স্তর বিপদসীমা অতিক্রম করায় সম্প্রতি ফারাক্কা বাঁধের কয়েকটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং, ভারতের শ্রীশাইলম বাঁধের ভিডিওকে ডম্বুর বাঁধ এবং ফারাক্কা বাঁধের ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Travel & Taste Youtube Channel: Srisailam Reservoir 10 Gates Lifted | Heavy Flood Water Inflows Into Srisailam Project
- krmb.gov.in Website
- Rumor Scanner’s Own Analysis