ইসরায়েলের নয়, ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী এই তরুণীটি ইংল্যান্ডের

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি মেয়ের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, মেয়েটি ইসরায়েলি।

ইসরায়েলের

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া অবধি এ বিষয়ে সর্বাধিক ভাইরাল ভিডিওটি প্রায় ১১ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি প্রায় ১৬ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওটিতে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার পৃথক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। ভিডিওটিতে ২ হাজারের অধিক মন্তব্য করা হয়েছে। ভিডিওটির মন্তব্য ঘর ঘুরে অধিকাংশ নেটিজেনকে উক্ত দাবির পক্ষে প্রতিক্রিয়া জানাতে  দেখা গেছে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী এই তরুণীটি ইসরায়েলের নয় বরং তিনি ইংল্যান্ডের বাসিন্দা।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘Reverted Muslims’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২১ জুন ‘Layla from England accepted Islam | Reverted Muslim’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Reverted Muslims YouTube

সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকে জানা যায়, ভিডিওটিতে দেখানো ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী মেয়েটির নাম লায়লা। তিনি ইংল্যান্ডের বাসিন্দা।

পরবর্তীতে ‘Maklumat Media’ নামের অপর একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ১০ জুন ‘Sister Layla taking her Shahadah at Lewisham Islamic Centre (LIC), England’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot Collage Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটিতে এক ইসলামি পোশাক পরিহিত ব্যক্তিকে (পুরুষ) লায়লাকে কালেমা পড়াতে দেখা যায়। জানা যায়, লায়লা ২০২৩ সালে লন্ডনের লুইশাম ইসলামিক সেন্টার থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

অর্থাৎ, উপরিউক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী লায়লা ইসরায়েলি নয়।

মূলত, ২০২৩ সালে লায়লা নামের ইংল্যান্ডের এক তরুণী লন্ডনের লুইশাম ইসলামিক সেন্টার থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে ইসরায়েলি একটি মেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

সুতরাং, ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী ইংল্যান্ডের তরুণী লায়লাকে ইসরায়েলি দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img