আওয়ামী লীগের পক্ষে বলায় নয়, নির্যাতনের ভাইরাল ভিডিওটি ২০২০ সালের ভিন্ন ঘটনার

সম্প্রতি, একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ইমাম সাহেবের বক্তব্য আওয়ামী লীগের পক্ষে যাওয়ায় বরিশালে মসজিদের ইমাম সাহেবকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে এবং তার গলায় জুতার মালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে এক্সে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইনস্টাগ্রামে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি বক্তব্য আওয়ামী লীগের পক্ষে যাওয়ায় বরিশালে মসজিদের ইমামকে হেনস্তার কোনো ঘটনার নয়। বরং, ভিডিওটি ২০২০ সালের, সেই সময় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ভিডিওর ব্যক্তিকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছিল।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ৪ জুন ‘মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থার ঘটনায় মামলা’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদ খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর একটি নির্দিষ্ট ফ্রেমের মিল রয়েছে।

Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালিশের নামে ২০২০ সালের ৩ জুন বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দরিচর-খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে স্থানীয় মাদ্রাসার অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম আলাউদ্দিনকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করা হয়।

এছাড়াও, যুগান্তর, সমকাল, বাংলা ট্রিবিউন এর ওয়েবসাইটে সেসময় এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনগুলোতে, কোনটিতে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার অফিস সহকারী/কেরানি এবং কোনটিতে সহকারী শিক্ষক বলা হয়েছে।

অর্থাৎ, ভিডিওটি ২০২০ সালে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তিকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনার। এর সাথে আওয়ামী লীগের পক্ষে বলায় ইমামকে লাঞ্ছিত করার দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, বরিশালে ২০২০ সালের উপবৃত্তি আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে সম্প্রতি ইমাম সাহেবের বক্তব্য আওয়ামী লীগের পক্ষে যাওয়ায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img