বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে “সৌদির স্কুলে পড়ানো হবে রামায়ণ-মহাভারত” শীর্ষক শিরোনাম সহ সমজাতীয় শিরোনামে একটি দাবি প্রচার হয়ে আসছে।
দাবিটি গণমাধ্যমে
আলোচিত দাবিতে সংবাদ প্রকাশ করেছে প্রথম আলো, যুগান্তর, আরটিভি, সময় টেলিভিশন, নিউজ২৪ (১,২), বাংলাভিশন, সমকাল, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইত্তেফাক (১,২,৩), মানবজমিন, বাংলা ট্রিবিউন, যায়যায়দিন, নয়া দিগন্ত, মানবকন্ঠ, ঢাকা টাইমস, দ্য ঢাকা টাইমস, অর্থসূচক, বার্তা ২৪, নিউজবাংলা ২৪, বাংলাদেশ-জার্নাল, দৈনিক আমাদের সময়, আমাদের সময় (পোর্টাল), ভোরের কাগজ, ভোরের পাতা, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস, বাংলা রিপোর্ট, বহুমাত্রিক, জুম বাংলা, এমটি নিউজ, দৈনিক মাথাভাঙ্গা, পদ্মা নিউজ, মালয় নিউজ, সাময়িকী (নরওয়ে থেকে পরিচালিত) স্টেট ওয়াচ (বিদেশ থেকে পরিচালিত বাংলা ভাষার সংবাদ পোর্টাল)। এছাড়াও, কোয়ান্টাম মেথড এর সাইটে-ও দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) পেজ-এ প্রকাশ করেছে নাগরিক টেলিভিশন, প্রথম আলো, আরটিভি- (১, ২), সমকাল, বাংলা ভিশন, নিউজ২৪ টেলিভিশন, স্টেট ওয়াচ।
এছাড়াও একই দাবিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস (বাংলা ও ইংরেজি), ইন্ডিয়া টুডে, ইয়াহু নিউজ (ভারতীয় সংস্করণ), জি নিউজ (বাংলা, ইংরেজি), রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড (বাংলা ও ইংরেজি), নিউজ ১৮, টিভি ৯, উইও নিউজ (ভিডিও) [ওয়ার্ল্ড ইন ওয়ান নিউজ], আজতক, আনন্দবাজার, সিয়াসাত ডেইলি, এইসময়, সংবাদ প্রতিদিন, মুসলিম মিরর, দ্য কাশ্মিরিয়াত, ইস্ট কোস্ট ডেইলি, পত্রিকা (পত্রিকা ডট কম), এবিপি এডুকেশন, জনতা সে রিশতা, স্পিকিং ট্রি, সনাতন প্রভাত। এছাড়াও, ওপি-ইন্ডিয়া, ন্যাশন ওয়ার্ল্ড নিউজ, অর্গানাইজার।
দাবিটি ছাপা পত্রিকায়
অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো ও যুগান্তর এর ছাপা পত্রিকায় দাবিটি প্রকাশের প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও ভারতীয় একটি ছাপা পত্রিকার অংশবিশেষ এর ছবি পাওয়া গেছে। যদিও ছবি থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি এটি কোন পত্রিকায় ছাপানো হয়েছিল। তবে একটি নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদনের ফিচার ইমেজ হিসেবে ছবিটি পেয়েছি এবং একইসাথে প্রতিবেদনের শেষে “23 এপ্রিল যুগশঙ্খ” উল্লেখ করা হয়েছে। ছাপা পত্রিকার অংশবিশেষ এর ছবিটিতেও ২৩ এপ্রিল উল্লেখ করা রয়েছে।
অনসুন্ধানে যুগশঙ্খ নামের একটি পত্রিকা ও এর ই-পেপার সাইট পাওয়া গেছে। যদিও ই-পেপারটি সাবস্ক্রিপশন মডেলের হওয়ায় ক্রসচেক করা হয়নি।
দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
টুইটারের প্রচারিত এমন কিছু পোস্টের আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
এর মধ্য একটি টুইট (দাবি) করা হয়েছে রামানন্দ সাগর পরিচালিত “রামায়ণ” টেলিভিশন সিরিজে লক্ষ্মণ চরিত্রে অভিনয় করা সুনীল লাহরী’র টুইটার থেকে। বিষয়টি নিয়েও সংবাদ প্রকাশ করেছে রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
এছাড়াও, “Amrita Bhinder” এর ভেরিফাইড টুইটার প্রোফাইল থেকে দাবিটি টুইট করা হলেও পরে টুইটটি মুছে ফেলা হয়েছে।
দাবির সূত্রপাত
গত ২০২১ সালের ১৬ই এপ্রিল ন্যাশন ওয়ার্ল্ড নিউজ এবংওপি-ইন্ডিয়া হিন্দি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে যে, সৌদি আরবের ‘ভিশন-২০৩০’ এর অধীনে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কোর্সের অংশ হিসাবে রামায়ণ এবং মহাভারত সহ অন্যান্য দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি শেখানো হচ্ছে। উভয় প্রতিবেদনে-ই কোর্সের অংশ (চিত্র) হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটের ‘ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংকস’ বা শূন্যস্থান পূরণ সম্বলিত প্রশ্নপত্রের কয়েকটি স্ক্রিনশটও যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন (Q21) -এ উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের দুটি সর্বশ্রেষ্ঠ মহা ‘কাব্য’ হলো রামায়ণ এবং মহাভারত (উত্তর সহ)।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত স্ক্রিনশট বা চিত্রসমূহের ক্ষেত্রে “Nouf Almarwaai” নামের একজন সৌদি ইয়োগা প্রশিক্ষক ও পদ্মশ্রী বিজয়ী’র ভেরিফাইড একাউন্টের টুইট’কে সোর্স হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে।
কেন বিভ্রান্তি
“Nouf Almarwaai” তার টুইটের ক্যাপশনে হ্যাশট্যাগসহ Vision2030 উল্লেখ করার ফলে এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট স্কুলের কারিকুলামের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না রাখার ফলে ব্যবহারকারীগণ এবং গণমাধ্যম দাবিটিকে সৌদির জাতীয় পাঠ্যক্রম (কারিকুলাম) ভেবে বিভ্রান্ত হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিশন ২০৩০ এর অধীনে “সৌদির স্কুলে পড়ানো হবে রামায়ণ-মহাভারত” শীর্ষক দাবিটি সত্য নয় বরং সৌদি আরবের প্রাইভেট বিদেশী স্কুলগুলোতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ দেশের পাঠ্যক্রম রয়েছে এবং তা সৌদি আরবের জাতীয় পাঠ্যক্রমের অংশ নয়। এছাড়াও, ভিশন ২০৩০ এর আগে থেকেই প্রাইভেট বিদেশী স্কুলগুলোতে এই পাঠ্যক্রম রয়েছে।
অনুসন্ধান
অনুসন্ধানে সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ সম্পর্কে সৌদি সরকারের অফিশিয়াল সাইটে পাওয়া যায়; প্রাণবন্ত সমাজ, সমৃদ্ধ অর্থনীতি, একটি উচ্চাভিলাষী জাতি, সৌদি আরবের উন্নয়ন কৌশলগত পরিকল্পনা সহ বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়ে এই ভিশন ২০৩০।
তবে আলোচিত প্রতিবেদন দুটিতে (উপরে উল্লিখিত) এবং “Nouf Almarwaai” এর টুইটে “ভিশন ২০৩০” এর সাথে আলোচিত দাবিটি যেভাবে সম্পৃক্ত করা হয়েছে, সেভাবে “ভিশন ২০৩০” এর উদ্দেশ্য এর দাবিটি সরাসরি কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
এডভান্স গুগল অনুসন্ধান পদ্ধতি ব্যবহার করে “ভিশন ২০৩০” এর অফিশিয়াল সাইট এবং এই সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ আছে এমন আরো একটি অফিশিয়াল সাইটেও সরাসরি এ জাতীয় (দাবির) কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও, অনুসন্ধানে আরব নিউজ পাকিস্তানের সাংবাদিক “Naimat Khan” এর একটি টুইট খুঁজে পাওয়া যায়। টুইটে আলোচিত দাবিটি একটি ভিডিও প্রতিবেদন সংযুক্ত করে তিনি লিখেন, “@WIONews সহ অনেক ভারতীয় মিডিয়া আউটলেট এই #ফেকনিউজটি ছড়িয়ে দিচ্ছে যে শীঘ্রই সৌদি আরবের স্কুলগুলোতে রাজ্যের নতুন #ভিশন 2030 এর অংশ হিসাবে রামায়ণ এবং মহাভারত পড়ানো হবে।” অর্থাৎ, তিনি দাবিটিকে ফেইক নিউজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তার এই টুইটের থ্রেডেও (একই টুইটে সিরিজ পোস্ট বা কমেন্ট) বেশকিছু তথ্য উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট সৌদি পলিটিক্যাল এনালিস্ট “Omar Al Ghamdi” এর একটি টুইটের (রি-টুইট) স্ক্রিনশট উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সূত্র অনুযায়ী তার টুইটটি (রি-টুইট) খুঁজে পাওয়া যায়। টুইটে (রি-টুইট) তিনি দাবিটি প্রথম টুইটকারী “Nouf Almarwaai”কে উদ্দেশ্য করে উল্লেখ করেছেন, “আপনার ছেলে সৌদি আরবের একটি আন্তর্জাতিক ভারতীয় স্কুলে অধ্যয়ন করছে। এই স্কুলগুলোতে #Vision2030 এর আগে থেকেই এই পাঠ্যক্রম ব্যবহার করে আসছে, সুতরাং বিদেশী পাঠ্যক্রমের সাথে Vision2030 সম্পৃক্তকরণের বিষয়টি মিথ্যা (ভাবানুবাদ)”। অর্থাৎ, Vision2030 এর আগে থেকেই সৌদি আরবের প্রাইভেট বিদেশী স্কুলগুলোতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ দেশের পাঠ্যক্রম রয়েছে তবে তা সৌদি আরবের জাতীয় পাঠ্যক্রমের অংশ নয়।
এছাড়াও, সৌদি কলামিস্ট Ibrahim Al-Sulaiman এর একটি টুইট (রিটুইট) খুঁজে পাওয়া যায়। তিনি উল্লেখ করেন, “মিসেস নউফ, নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য তাদের প্রাইভেট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষার বিষয়ে স্বাধীনতা রয়েছে, যা সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এবং এই বিষয়টি (সৌদিতে) নতুন নয়। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাদের নিজস্ব কাঠামো এবং পাঠ্যক্রম রয়েছে যা বেসরকারি পাঠ্যক্রম। বিষয়টিকে সৌদির স্থানীয় পাবলিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমের সাথে মিশ্রিত করা যাবে না।”
দাবি খন্ডন করে আপ্লোড করা আরো দুটি টুইট দেখুন এখানে এবং এখানে (রিপ্লাই)।
পাশাপাশি, অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম “The Milli Chronicle” এ ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল “এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের জাতীয় পাঠ্যক্রমে রামায়ণ এবং মহাভারত নেই (অনূদিত)” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “রিয়াদ-ভিত্তিক ডেন্টাল স্পেশালিস্ট ডঃ সামিনা খান দাবিটি তদন্ত করে বলেন, ‘জাতীয় পুরো পাঠ্যক্রমের পাঠ্য আরবি ভাষায় (দাবির অনুযায়ী ইঙ্গরেজিতে নয়) এবং সমগ্র সামাজিক শিক্ষা পাঠ্য বইয়ে মহাভারত বা রামায়ণের কোনো উল্লেখ নেই। ডঃ খান সৌদির পাবলিক কারিকুলামের সোশ্যাল স্টাডিজ বইয়ের পিডিএফ ডকুমেন্টও শেয়ার করেছেন, যাতে বিদেশী অধ্যয়নের কোনো নতুন প্রবর্তন নেই।”
এছাড়াও আরো উল্লেখ করা হয়, “অবশেষে, আলমারওয়াই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন যে তার আগের টুইটটি সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের বিষয়ে ছিল জাতীয় পাঠ্যক্রম নয়, এবং এর মানে এই নয় যে এটি শিক্ষার্থীদের হিন্দু ধর্ম শেখায় (ভাবানুবাদ)।”
এ বিষয়ে Nouf Almarwaai কী বলেছেন
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অল্টারনেটিভ নিউজ’কে Nouf Almarwaai এর টুইট প্রসঙ্গ ব্যতীত ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে বলেছেন, “আমি স্বাভাবিকভাবে টুইট করেছিলাম যে আমি আমার ছেলেকে ভারতীয় উপমহাদেশের বিষয়গুলি শেখানো আমি উপভোগ করেছি। আমার ছেলে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে এবং এর পাঠ্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত। আমি নিশ্চিত করতে পারি যে আমার ছেলের স্কুলে রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানো হচ্ছে না। এটি শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ান শিল্প বিভাগের সাহিত্য উপশিরোনামের অধীনে ভারতের একটি ঐতিহাসিক মহাকাব্য হিসাবে (একক তথ্য) উল্লেখ করা হয়েছিল। ‘শূন্যস্থান পূরণ করুন’ শীর্ষক প্রশ্নপত্রের স্ক্রিনশটগুলি আমার ছেলে যে দশম শ্রেণীতে পড়ে তার। পরীক্ষিত বিষয় ছিল সামাজিক অধ্যয়ন এবং বিশ্ব ভূগোল।
আমি লক্ষ্য করেছি যে বেশ কয়েকটি মিডিয়া আউটলেট সৌদি আরবের ভিশন 2030 সম্পর্কিত একটি মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য আমার টুইট ব্যবহার করেছে। তবে আমি এটি পরিষ্কার করতে চাই যে এর মধ্যে একটি মিডিয়াও বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। আমি তাদের অনুরোধ করছি প্রসঙ্গ ছাড়াই আমার বক্তব্য প্রকাশ করার আগে আমার সাথে যোগাযোগ করুন (ভাবানুবাদ)।”
মূলত, সৌদিতে বসবাসরত Nouf Almarwaai নামক একজন ব্যবহারকারী টুইটারে তার সন্তানের আন্তর্জাতিক প্রাইভেট স্কুলের প্রশ্নপত্রের ছবি টুইট করেন। সেই প্রশ্নপত্রে “ভারতের দুটি মহাকাব্য: রামায়ন-মহাভারত” শীর্ষক প্রশ্নটি উল্লেখ ছিল। কিন্তু Nouf Almarwaai তার টুইটে ভিশন ২০৩০ উল্লেখ করায় এবং প্রশ্নপত্রটি কিংবা এর সাথে সংশ্লিষ্ট পাঠ্যক্রমটি যে আন্তর্জাতিক প্রাইভেট স্কুলের; সৌদির জাতীয় পাঠ্যক্রমের নয় সেটি এড়িয়ে যাওয়ায় তার টুইটের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমে ভুল তথ্যটি প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে ভারতীয় গণমাধ্যম হয়ে দাবিটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও প্রচারিত হয়।
প্রসঙ্গত, গণমাধ্যমে প্রচারিত ভুল তথ্য নিয়ে ইতোপূর্বে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে সৌদির ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট স্কুলের পাঠ্যক্রম’কে “সৌদির স্কুলে (জাতীয় পাঠ্যক্রমে) পড়ানো হবে রামায়ণ-মহাভারত” শীর্ষক দাবি প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Story of the Woman Who Brought Yoga to Saudi Arabia After 20-Year Struggle
- Nouf Almarwaai Twitter
- Naimat Khan’s Twitter Thread
- Saudis clarify: No Ramayan and Mahabharata in Saudi Arabia’s national curriculum as of now
- AltNews- Media falsely reports Ramayana, Mahabharata to be taught in Saudi Arabian schools