আড়াই হাজার নগদ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ কোটি করে টাকা ঢুকার দাবিটি মিথ্যা

সম্প্রতি, “আড়াই হাজার নগদ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ কোটি করে টাকা ঢুকেছে” শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আড়াই হাজার নগদ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ কোটি করে টাকা ঢুকার দাবিটি সত্য নয় বরং কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো গ্রহণযোগ্য সূত্রে উক্ত দাবি সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Screenshot: Google 

পরবর্তীতে দাবিটি যাচাইয়ের জন্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর নগদ এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণ করে, আড়াই হাজার অ্যাকাউন্টে অটোমেটিক ১ কোটি করে টাকা ঢুকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য রিউমর স্ক্যানার টিম নগদের কাস্টমর কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে বলা হয়, এধরনের কোনো ঘটনা সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। আপনি যে তথ্যটির কথা বলছেন সেইধরনের কোনো ঘটনা যদি ঘটতো তাহলে আমাদের জানা থাকতো৷ আমরা আশা করছি, এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। 

মূলত, আড়াই হাজার নগদ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১ কোটি করে টাকা ঢুকার একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে দাবিটি সঠিক নয়। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নগদে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে উক্ত দাবিটি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রায় ১৫শ ৩ জন শ্রমিকের নগদ অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার ৪০০ করে টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও “নগদ” প্রতিষ্ঠান ভুল করে একটি “শূন্য” বেশি দেওয়ায় প্রতি শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে একটি ১ লক্ষ ৪৪ হাজার করে টাকা ঢুকে যায়। 

সুতরাং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর নগদ থেকে আড়াই হাজার অ্যাকাউন্টে ১ কোটি করে টাকা ঢুকার দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img