গত ২৭ জুন আরটিভির ফেসবুক পেজে “গাঁজা কিনতে লাগবে ‘প্রেসক্রিপশন’” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আরটিভিতে প্রকাশিত গাঁজা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, বরং এটি থাইল্যান্ডের ঘটনা।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটির মন্তব্যঘরে পাওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “গাঁজার অবাধ ব্যবহারে লাগাম টানতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ডের সরকার। তিন বছর আগে গাঁজা বৈধ করার পর এবার এ বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিলেন দেশটির সরকার। এখন থেকে গাঁজা কিনতে দেশটিতে প্রয়োজন হবে প্রেসক্রিপসন বা ডাক্তারি ব্যবস্থাপত্র। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) বরাতে বলা হয়, গাঁজা নিয়ন্ত্রণে আবারও কঠোর হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। গত ২৪ জুন (মঙ্গলবার) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুয়েতিন এক আদেশের মাধ্যমে সব দোকানে প্রেসক্রিপশন ছাড়া গাঁজা বিক্রি নিষিদ্ধ করেন। এ ছাড়া গাঁজা ফুলকে ‘নিয়ন্ত্রিত ভেষজ’ হিসেবে পুনরায় শ্রেণিকরণের প্রস্তাব দেন তিনি।”
অর্থাৎ, গাঁজা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। আরটিভিতে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনামে দেশের নাম উল্লেখ না করায় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এটিকে বাংলাদেশের ঘটনা ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
সুতরাং, গাঁজার অবাধ ব্যবহারে লাগাম টানতে থাইল্যান্ড সরকারের গাঁজা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগার উদ্যোগের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।