সিওমেকের সাবেক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আল রেকাবের মৃত্যুর ভুয়া দাবি প্রচার

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজা উপত্যকায় পুনরায় হামলা শুরু করলে ফিলিস্তিনে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করে। এই সংকটের মধ্যে, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ জাহান ফেসবুকে তার ফিলিস্তিনি সহপাঠী ডা. মোহাম্মদ আল রেকাবের সঙ্গে কথোপকথন শেয়ার করে জানান, রেকাব সিওমেক থেকে ডাক্তারি পাসের পর ফিলিস্তিনে গাইনি বিভাগে কাজ শুরু করেন। গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে রেকাব মাসুদকে বলেন, “খুবই ভয়াবহ অবস্থা, সবখানে মৃত্যু, কখনো এতটা খারাপ হয়নি।”

এই প্রেক্ষাপটে, সিওমেকের সাবেক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আল রেকাব নামাজরত অবস্থায় ইসরায়েলের ফেলা বোমায় মৃত্যুবরণ করেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

একই দাবিতে ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

থ্রেডসে প্রচারিত দাবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, সিওমেকের সাবেক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আল রেকাবের মৃত্যু সংক্রান্ত খবরটি সত্য নয়। বরং, নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে এই দাবি প্রচার করা হচ্ছে। রেকাব নিজেই ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে মোহাম্মদ আল রেকাবের সহপাঠী মাসুদ জাহানের ফেসবুক প্রোফাইলে আজ ৭ এপ্রিল প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। মাসুদ জানান, মোহাম্মদ আল রেকাব এখনো অক্ষত এবং সুস্থ আছেন। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে রেকাবের মৃত্যু সংক্রান্ত ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এবং তিনি এ ধরনের তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছেন।

পোস্টটিতে মাসুদ জাহান মোহাম্মদ আল রেকাবের সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও সংযুক্ত করেছেন। এই স্ক্রিনশটে দেখা যায় যে রেকাব নিজেই তার মৃত্যুর খবরকে মিথ্যা বলে নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া, আজ ৭ এপ্রিল সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে মোহাম্মদ আল রেকাব নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশিত একটি পোস্টে একজন ব্যক্তির মন্তব্যের জবাবে নিজের সুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Screenshot: Facebook.

সুতরাং, সিওমেকের সাবেক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আল রেকাবের মৃত্যুর দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img