সম্প্রতি, “ছোট্ট শাপলা কে বাচাতে এগিয়ে আসুন।” শীর্ষক শিরোনামে শাপলা নামে এক শিশুর জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, শাপলা নামে প্রচারিত ছবিগুলো কোন বাংলাদেশি শিশুর নয় বরং এগুলো ভারতের অর্পিতা দাস ও কৌশিক দাস দম্পতির নয় দিন বয়সী সন্তানের ছবি।
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতির মাধ্যমে, “My Baby Battles For His Life And We Need Your Support To Save Him” শিরোনামে ভারতের গণ-অর্থায়ন প্লাটফর্ম ‘Ketto’ এর ওয়েবসাইটে মূল ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।

পাশাপাশি, ‘Ketto’ এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শিশুটির জন্য ফান্ডরাইজিং নিয়ে ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত পোস্টেও একই ছবিগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়া, Jiyenge নামের অন্য আরেকটি গণ-অর্থায়ন প্লাটফর্মের ওয়েবসাইটেও শিশুটির জন্য ফাইন্ডরাইজিং নিয়ে পোস্ট রয়েছে।

মূলত, ছবির শিশুটি ভারতের অর্পিতা দাস ও কৌশিক দাসের পুত্র সন্তান। শিশুটি ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছে। বর্তমানে শিশুটি ভারতের কলকাতায় অবস্থিত নারায়ণ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফান্ডরাইজিং ঐ ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় আক্রান্ত শিশুটির চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ রুপি প্রয়োজন। সর্বশেষ এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত শিশুটির জন্য আর্থিক সহায়তা সংগ্রহ চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে, শাপলা নামে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদনকৃত ফেসবুক পোস্টগুলোয় উল্লেখিত ব্যক্তিগত বিকাশ, নগদ এবং রকেট নাম্বারে (01820859521)(01820859521-5) একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিগত কিছুদিন যাবত শুধুমাত্র নাম ও ছবি পরিবর্তন করে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে আর্থিক সহায়তার নামে প্রতারণা মূলক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রিউমর স্ক্যানার টিম পূর্বেও বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে প্রতারণার উদ্দেশ্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে করা পোস্টগুলোকে শনাক্ত করে একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সুতরাং, আর্থিক সহায়তার নামে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভারতীয় শিশুকে বাংলাদেশের শিশু শাপলা দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: ছোট্ট শাপলা কে বাচাতে এগিয়ে আসুন
- Claimed By: Facebook Posts
- Fact Check: False
[/su_box]