গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে মো. মামুন নামের এক বাঙালি যুবককে হত্যা করার জের ধরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফলশ্রুতিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে পাহাড়ি এলাকায়। সংঘাতের এই রেশ পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়েছে। হতাহত এবং নিহতের তথ্যও সামনে এসেছে। এরই প্রেক্ষিতে, চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন আহ্বান জানাচ্ছেন দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ভিডিও ব্যতীত শুধু লেখা আকারেও এই দাবি প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে ড. ইউনূসের প্রতি এক ব্যক্তির আহ্বান জানানোর ঘটনার ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় বরং ভিডিওটি ভারতের ত্রিপুরার।
ভিডিওটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভয়েস অফ সিএইচটি নামক ফেসবুক পেজে গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি এবং পাহাড়ে চারটি দল ঐক্যবদ্ধ না হলে ত্রিপুরাবাসীরা সহায়তা দিবেনা বলে জানানো হয়।
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে সমাবেশের ব্যানারে স্থানের নাম হিসেবে “উনকোটি ত্রিপুরা, ভারত” শীর্ষক লেখাও লক্ষ্য করা যায়। একই অ্যাকাউন্টে গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রকাশিত একটি লাইভ ভিডিও (আর্কাইভ) থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, ভাইরাল ভিডিওটি ভারতের, যা বাংলাদেশের পাহাড়ের চলমান অস্থিরতার ঘটনায় ভারতের ত্রিপুরায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনায় ধারণকৃত।
সুতরাং, চট্টগ্রামকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতে পাহাড়িরা ড. ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দাবিতে ভারতের ত্রিপুরার ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- ভয়েস অফ সিএইচটি – Facebook Page