সম্প্রতি, সেনাবাহিনীর সামনে ছাত্র পরিচয় দেওয়ার পর বেধড়ক মারধর করা হয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
এছাড়াও, সেনাবাহিনীর খেলা শুরু হয়ে গেছে দাবিতেও ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত দাবিতে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। সে সময়ের এই ভিডিওকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটির শেষে এসএ টিভির লোগো দেখতে পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে এসএ টিভির ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর ‘সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ শিক্ষার্থী আটক’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয় যায়।
শিরোনাম এবং হ্যাশট্যাগ থেকে জানা যায়, এটি রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ২৪ এর ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর ‘হাতাহাতি থেকে বাস ভাঙচুর’: ঢাকা ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থামাতে সেনাবাহিনী শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত এই ঘটনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকার সায়েন্সল্যাব এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছিল।
সুতরাং, ২০২৪ সালের পুরোনো ভিডিও দিয়ে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর সামনে ছাত্র পরিচয় দেওয়ার পর বেধড়ক মারধর করা হয়েছে শীর্ষক দাবি প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
