১৫ ই আগস্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে হেনস্থার শিকার হওয়া ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেননি

গত ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ধানমণ্ডি ৩২

এ বিষয়ে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হেনস্তার শিকার হওয়া ব্যক্তিটি জীবিত আছেন এবং তিনি নিজেই এ তথ্য একাধিক গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

গুজবের সূত্রপাত

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্টে ‘Asif Talukder’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে প্রচারিত পোস্টের স্ক্রিনশট ব্যবহার হতে দেখা যায়। স্ক্রিনশটে দেখা যায়, আসিফ তালুকদার লিখেছেন, “আমার বাবা মারা গিয়েছে। তোমরা যারা এমন করলে তোমাদের বাবা জীবিত বলে আমি বিশ্বাস করি এবং আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তুমি কি মানতে পারতে তোমার বাবার সাথে এমন কেউ করলে??”

অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৮টা ৩৪ মিনিটে আসিফ তালুকদার তার ফেসবুক আইডি থেকে হেনস্তার শিকার ব্যক্তির একটি ভিডিওসহ ওই পোস্টটি করেন। পোস্টটি পরবর্তীতে দু’বার এডিট করা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা পর, পোস্টের সর্বশেষ সংস্করণে আসিফ তালুকদার স্পষ্ট করেন, তার বাবা ২০২২ সালেই মারা গেছেন।

আসিফ তালুকদার তার পোস্ট এডিট করে বিষয়টি স্পষ্ট করলেও প্রথম ক্যাপশনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের কারণে অনেকে ধরে নেন, হেনস্তার শিকার হওয়া ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং এ দাবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, হেনস্তার শিকার হওয়া ব্যক্তির নাম আবদুল কুদ্দুস মাখন। তার ফেসবুক আইডিও শনাক্ত করেছি আমরা। গত ১৬ আগস্ট তার বড় ছেলে পরিচয়ে ‘Sirajul Quddus Imran’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করে জানানো হয় যে, আবদুল কুদ্দুস মাখন জীবিত আছেন, তবে তিনি গুরুতর অসুস্থ।

এছাড়া, অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা পোস্টসহ একাধিক মাধ্যমকে (,) দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবদুল কুদ্দুস মাখন নিজেই জানান, “আমি জীবিত আছি, ভালো আছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”

সুতরাং, ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়া ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img