সম্প্রতি, নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষই পানিবন্দী হয়ে আছে। এরই প্রেক্ষিতে নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ছবি প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি কিংবা সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং সিলেট ও ভারতের আসামের পুরোনো দুটি ছবি উক্ত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ছবিগুলোর প্রথমটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভিজ্যুয়াল মিডিয়া কোম্পানি এবং স্টক ইমেজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান Getty Image এর ওয়েবসাইটে গত ২০ জুন প্রচারিত একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবির সাথে প্রচারিত ছবিটির বেশ কিছু অংশ মিলে যায়।

উক্ত ছবির বিস্তারিত অংশ থেকে জানা যায়, ছবিটি গত জুন মাসে সিলেট ও ভারতের কিছু অংশ বন্যা হওয়ার সময়ে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থেকে তোলা। ছবিটি বার্তা সংস্থা এএফপি’র বাংলাদেশি চিত্রগ্রাহক মুনির উজ জামান তুলেছেন।
পরবর্তীতে, প্রচারিত ছবিগুলোর দ্বিতীয়টি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতের গণমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র ২০২০ সালের ২৯ জুন প্রকাশিত একটি সংবাদে খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদে রয়টার্সের সূত্রে ব্যবহৃত ছবির সাথে প্রচারিত ছবিটির মিল পাওয়া যায়।

উক্ত সংবাদের বরাতে জানা যায়, ছবিটি ভারতের আসামের মায়ং নামক গ্রাম থেকে তোলা হয়েছে। ঐ সময়ে আসামের সংঘটিত বন্যায় আসামের ১৩ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে ছিল।
সুতরাং, সিলেট ও ভারতের আসামের ভিন্ন ভিন্ন দুটি বন্যার ঘটনার ছবি সম্প্রতি নোয়াখালীতে ভয়াবহ বন্যার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Getty Image: TOPSHOT-BANGLADESH-LANDSLIDE-FLOOD-CLIMATE-MONSOON
- The Times of India: Assam floods claim 4 more lives, over a million affected
- Rumor Scanner’s Own Research