গত ৬ মে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভারত দাবি করে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক অভিযানে তারা জইশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তইয়েবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। ভারতের ভাষ্য, কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর গত এপ্রিলের হামলার জবাবেই এই অভিযান। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলাগুলো বেসামরিক এলাকায়, এমনকি মসজিদেও আঘাত হানে। এতে বেসামরিক প্রাণহানি ও আহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসলামাবাদ দাবি করেছে। পাকিস্তান আরও জানায়, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
এরই প্রেক্ষিতে “ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দৃশ্য। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় পাঁচটা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে পাকিস্তান। কয়েকজন ভারতীয় পাইলট আটক করেছে পাকিস্তান” শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান কর্তৃক ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কোনো দৃশ্যের নয় বরং ২০২৪ সাল থেকে ইন্টারনেটে ভিডিওটির অস্তিত্ব রয়েছে। সঙ্গত কারণে চলমান ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের সঙ্গে এই ভিডিওটির কোনো সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে, ভিডিও থেকে প্রাপ্ত ইমেজ রিভার্স সার্চের মাধ্যমে EXPLOSION নামক ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে ২০২৪ সালের ২৩ জুনে প্রচার হওয়া একই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়া, সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে Assam(nabajyoti) নামক একটি চ্যানেলে ২০২৪ সালের ১১ মার্চে প্রকাশিত একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

তবে, উক্ত পোস্টগুলোর কোথাও ভিডিওটির স্থান কিংবা সময়কাল সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ নেই।
আলোচিত পোস্ট দুইটির (Instagram, Youtube) বর্ণনা অনুযায়ী ভিডিওটি কোন সময়ে বা কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে ধারণ করা তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এটি নিশ্চিত যে এটি সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতের ঘটনার দৃশ্য নয়।
সুতরাং, অন্তত ২০২৪ সাল থেকে ইন্টারনেট বিদ্যমান একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ের পাক-ভারত সংঘাতের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।