মেঘের কারণেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে দুর্ঘটনা ঘটে দাবিতে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, কলোরোডা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্যাটেলাইট ও মিটিওরোলজিস্ট স্টিভ মিলারের বক্তব্যের বরাত দিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যের সমাধান হয়েছে।মেঘের কারণেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে

উক্ত দাবিতে বাংলা ভিশনের ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

উক্ত দাবিতে বাংলা ভিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে। 

একই দাবিতে বাংলা ভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে স্টিভ মিলার কোনো মন্তব্য করেননি বরং ২০১৬ সালে সায়েন্স টিভি চ্যানেলে স্টিভ মিলার সহ আরও একজন বিশেষজ্ঞের বারমুডা ট্রায়াংগেল নিয়ে দেওয়া বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে উক্ত তথ্যটি প্রচার করা হয়েছে। 

মূলত, ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল আমেরিকার সায়েন্স নামের একটি চ্যানেলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে একটি অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে দাবি করা হয়, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি স্যাটেলাইটে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ষড়ভুজাকৃতির এমন কিছু মেঘ দেখা গিয়েছে, যা আরেকটি স্যাটেলাইটে উত্তর সাগরের উপরও দেখা গিয়েছে। এই ধরনের মেঘ  মাইক্রোবার্স্ট (microburst) নামক একটি প্রাকৃতিক ঘটনা, যা শক্তিশালী বাতাস তৈরি করে। অনুষ্ঠানটিতে আমন্ত্রিত দুইজন বিশেষজ্ঞ অতিথির এই মেঘ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে সায়েন্সে চ্যানেলটি এক পর্যায়ে দাবি করে, বিজ্ঞানীরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্যের সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। তবে রিউমর স্ক্যানারে অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দুইজন অতিথিই পরবর্তীতে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানান, তাদের বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সায়েন্স চ্যানেলটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্যের সমাধান খুঁজে পাওয়ার দাবিতে প্রচার করেছে।  

উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার। 

আরও পড়ুন

spot_img