সন্দিপ লামিচানেকে ১২ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর তথ্যটি মিথ্যা

সম্প্রতি “ধর্ষণের অভিযোগে নেপালের ক্রিকেটার সন্দিপ লামিচানের ১২ বছরের জেল” শীর্ষক শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

এছাড়াও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবেও সমজাতীয় শিরোনাম ও থাম্বনেইল সহ বেশকিছু ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে। ভিডিওগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে এবং এখানে।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নেপালের ক্রিকেট তারকা সন্দিপ লামিচানের ১২ বছরের জেল হয়নি বরং এই মামলার তদন্ত এবং বিচারকাজ এখনও চলমান।

কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, ভারতীয় গণমাধ্যম “লেটেস্টলি” এর বাংলা সংস্করণে গত ৪ নভেম্বর “ধর্ষণে অভিযুক্ত ক্রিকেটারের রায় না হওয়া পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজত” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নেপাল ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সন্দীপ লাছিমানকে রায় না হওয়া পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত।

পাশাপাশি, দেশীয় গণমাধ্যম “প্রথম আলো”র অনলাইন সংস্করণে গত ৪ নভেম্বর “ধর্ষণ মামলায় রায়ের আগে পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে লামিচানেকে” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মূলত, ১৭ বছর বয়সী নেপালের এক মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ আত্মসমর্পণ করেন লামিচানে। কাঠমান্ডু জেলা আদালত ৪ নভেম্বর নেপালের তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানেকে ধর্ষণের মামলার চূড়ান্ত শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সন্দীপ লামিচানেকে ১২ বছরের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী নেপালের একটি থানায় লামিচানের বিরুদ্ধে হোটেল রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। অক্টোবরের ৬ তারিখে লামিচানে আত্মসমর্পণ করেন, যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে পুলিশ হেফাজতেই ছিলেন নেপালের সাবেক অধিনায়ক।

প্রসঙ্গত, পুলিশ চার্জশীটে লামিচানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ১২ বছরের সাজা দাবি করেছে। তবে মামলার রায় এখনও হয়নি।

সুতরাং, সন্দিপ লামিচানের ধর্ষণের অভিযোগের মামলার রায় এখনও হয়নি। তাকে “১২ বছর এর জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে” শীর্ষক তথ্য প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img