ভিন্ন কারণে মনি কর্মকারের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের সাবেক নারী ভাইস চেয়ারম্যান মনি কর্মকারের ওপর ইসলামপন্থীরা নৃশংসভাবে হামলা করেছে দাবিতে একটি নারীর ছবি যুক্ত করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। 

এক্সে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মনি কর্মকারের ওপর হামলার দাবিতে প্রচারিত ছবিটি মনি কর্মকারের নয় বরং, ছবিটি তার বোন মিতা কর্মকারের। এছাড়া, ধর্মীয় কারণে নয় বরং, ভিন্ন কারণে মনি কর্মকারের পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে তিনি নিজেই রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেছেন। 

এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মনি কর্মকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, ‘এখানে ধর্মীয় কোনো কারণ নেই, রাজনৈতিক এবং পারিবারিক কারণে হামলা করা হয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর আমার বোন মিতা কর্মকারের জামাই চন্দ্রনাথ কর্মকার হামলা করেন আমার বোন ও আমার মায়ের ওপর। আমার বোনের ঘাড়ে কুপ দেওয়া হয়। এছাড়া, চন্দ্রনাথ কর্মকারের কুপে আমার মায়ের হাতের আঙুল একটি কেটে পড়ে গেছে। ওরা এখনো ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন। এই হামলা মূলত রাজনৈতিক কারণেই বলবো আমি।’

এছাড়া জাতীয় দৈনিক ডেইলি অবজারভারের স্থানীয় প্রতিনিধি মোস্তাক রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, ‘হামলার বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছিলাম। হামলাকারী মনি কর্মকারের বোন জামাই। পারিবারিক ঝামেলার কারণে হামলা হয়েছে।’ এছাড়া ছবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছবিটি মনি কর্মকারের নয়, তার বোনের।’

সুতরাং, পারিবারিক (এবং রাজনৈতিক) কারণে মনি কর্মকারের বোন ও মায়ের ওপর হামলার ঘটনাকে মনি কার্মকারের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

  • Mani Karmaker’s Statement 
  • Local Journalist- Statement  

আরও পড়ুন

spot_img