মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর ছবি দাবিতে বাঁশখালীর ভিন্ন মেয়ের ছবি প্রচার

গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে শিশুদের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়েছে। সম্প্রতি, হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা এক মেয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এই মেয়েটিই মাগুরার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। 

মাগুরায় ধর্ষণের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ছবি দেখুন আর্কাইভ (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবিটি সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হওয়া মাগুরার ৮ বছরের শিশু নয় বরং, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ভিন্ন এক মেয়ের ছবি আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে HM Elias Hasan Hossain নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ০৭ মার্চ বিকেলে প্রচারিত একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

এই পোস্ট থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর মনছুরিয়া বাজারের পশ্চিমপাশে নাপেড়া বাজারে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় মেয়েটি। তার নাম ফাহিমা আক্তার। মেয়েটির বাবার নাম ছগির। মেয়েটি সে সময় বাঁশখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানানো হয় পোস্টে। যদি কোনো পরিচিত কেউ চিনে থাকেন তার পরিবারের কাছে সন্ধান পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে পোস্টে একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়।  

Screenshot: Facebook 

রিউমর স্ক্যানার উক্ত নাম্বারটি যাচাই করে জানতে পারে, এটি বাঁশখালীর মোঃ মুশফিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তির নাম্বার। তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, মেয়েটিকে ইতোমধ্যেই তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

জনাব মুশফিকুরের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে গত ০৭ মার্চ একই পোস্ট পাওয়া যায়। ০৭ মার্চ দুপুরে মেয়েটির পরিবারের সন্ধান চেয়ে তিনিই প্রথম এই পোস্ট করেন। পরবর্তীতে আজ (১১ মার্চ) পোস্টটি এডিট করে তিনি জানিয়েছেন, মেয়েটি এখন পরিবারের হেফাজতে আছে।

Collage: Rumor Scanner 

সুতরাং, চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার এক মেয়ের ছবিকে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হওয়ার ৮ বছরের শিশুর ছবি দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • HM Elias Hasan Hossain: Facebook Post
  • Statement from Md Mushfiqur Rahman

আরও পড়ুন

spot_img