সম্প্রতি, “করোনায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন রোগী ছটফট করে মারা গেলো। মৃত্যুর সময় পাশে পায়নি আপনজনদের সহায়তা, তাই ছটফট করা অবস্থায় মৃত্যু, তার হাত, পা এবং মাথাটাও কেউ সোজা করেনি। এমন নির্মম মৃত্যু না চাইলে প্লিজ মাস্ক পড়ুন স্বাস্থ্যবিধি মানুন।” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল কিছু পোস্টের আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
টিম রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায় গতকাল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ঐ ব্যক্তির নাম খোরশেদ আলম এবং শারীরিক জটিলতার কারণে আগে থেকেই তার শরীর বাঁকা ছিলো।
মৃত খোরশেদ আলমের লাশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাত্রেই তার ছেলে মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ এপ্রিল তার বাবাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৬ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত হয়। হাসপাতালে ভর্তি পূর্বেই শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় তিনি বেশ কয়েকবার স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে যান। এরপর ই তার ডান হাত ও ডান পা অবশ হয়ে পড়ে এবং কোমরও বাঁকা হয়ে যায়। এ প্রকাশিত ঢাকা পোস্ট এবং দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে।
তিনি আরো জানান, তার বাবার মৃত্যুর সময় তিনি সহ পরিবারের আরো দুইজন সদস্য তার পাশেই ছিলেন।
অর্থাৎ, মৃত খোরশেদ আলম করোনা পজিটিভ থাকা অবস্থায় মারা গেলেও তার হাত-পা, মাথা, কোমর বাঁকা হওয়ার সাথে করোনার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোন ব্যক্তির শারীরিক আকৃতির পরিবর্তন হওয়ার কোন তথ্য এখন পর্যন্ত কোথাও পাওয়া যায় নি।
সুতরাং, “করোনায় কুমেকে ছটফট করা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃত্যু, তার হাত, পা এবং মাথাটাও কেউ সোজা করেনি” শীর্ষক শিরোনাম প্রচারিত তথ্য ও ছবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।
[su_box title=”True or False” box_color=”#f30404″ radius=”0″]
- Claim Review: করোনায় কুমেকে এক রোগী ছটফট করে মারা গেলো, তার হাত,পা এবং মাথাটাও কেউ সোজা করেনি
- Claimed By: Facebook Posts
- Fact Check: Misleading
[/su_box]