সম্প্রতি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি পাচ্ছেন বলে দুই শিক্ষকের নামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী।
এ ঘটনার পর একজন নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের কথোপকথন দাবিতে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে ভাইরাল এই স্ক্রিনশটগুলো নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রচার হয়।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন আজকের পত্রিকা, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস এবং শেয়ার নিউজ২৪।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্রীর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের আপত্তিকর হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলো আসল নয় বরং ‘Fake Chat – Whats Prank Mock’ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এই ভুয়া স্ক্রিনশটগুলো তৈরি করা হয়েছে।
গুজবের সূত্রপাত
অনুসন্ধানের জানা যায়, ‘জাবিয়ানস – JnU’ins’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ২১ মার্চ বিকেল ৪টা ২৮ মিনিটে আলোচ্য কথোপকথনের স্ক্রিনশট যুক্ত সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি (আর্কাইভ) করা হয়। এরপর থেকে ইন্টারনেটে স্ক্রিনশটগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
স্ক্রিনশটগুলো ভাইরাল হওয়ার পরবর্তী সময় এর সত্যতা জানতে চেয়ে রিউমর স্ক্যানার টিমের কাছে অসংখ্য ফ্যাক্ট-চেক অনুরোধ আসতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে কাজ শুরু করি আমরা।
ভাইরাল স্ক্রিনশটগুলোর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে একটি অসংগতি আমাদের নজরে পড়ে।
হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলোতে একটি বাংলালিংক নম্বর (01936156054) দেখা যাচ্ছে। সাধারণত, মোবাইলে কোনো নম্বর সেভ না করা থাকলে কিংবা কোনো কন্টাক্ট যদি হোয়াটসঅ্যাপে সিঙ্ক না হয়ে থাকে, তাহলে শুধু নম্বরটি দেখা যায়। এক্ষেত্রে, হোয়াটসঅ্যাপে নম্বরের আগে সাধারণত আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড বা কান্ট্রি কোড দেখানো হয়, যদি বাংলাদেশি নম্বরের সাথে কথোপকথন হয় তবে এই কান্ট্রি কোড হবে +৮৮০। তবে, ভাইরাল স্ক্রিনশটগুলোতে এই কান্ট্রি কোড দেখা যাচ্ছে না।
উক্ত অসংগতি পাওয়ার পর রিউমর স্ক্যানারের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দল স্ক্রিনশটগুলো আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ শুরু করে। পর্যবেক্ষণে উপরিউক্ত অসংগতিটি ছাড়াও আরও ৯টি অসংগতি খুঁজে পাওয়া যায়। নিচে সেসব অসংগতিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
১। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাধারণত ১২ ঘণ্টা ফরম্যাটের ঘড়ি ব্যবহারে অভ্যস্ত, যেখানে দিনের প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধ নির্দেশ করতে যথাক্রমে AM (Ante Meridiem – মধ্যাহ্নের পূর্বে) এবং PM (Post Meridiem – মধ্যাহ্নের পরে) ব্যবহার করা হয়। মোবাইল ফোনের সেটিংসে ১২ ঘণ্টা ফরম্যাটে সময় সেট করার ফলে ফোনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে এই ফরম্যাটেই সময় দেখানো হয়, যার ফলে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের পাশেও AM এবং PM দেখা যায়। তবে কথোপকথনের ভাইরাল স্ক্রিনশটে মেসেজের পাশে AM অথবা PM এর উল্লেখ দেখা যায়নি।
এই অনুপস্থিতি বিশ্লেষণ করলে একটি ধারণা তৈরি হতে পারে যে, সম্ভবত স্ক্রিনশট নেওয়া মোবাইলে ২৪ ঘণ্টা ফরম্যাটের ঘড়ি ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে AM বা PM প্রদর্শিত হয়নি। তবে, কল হিস্টোরি সংক্রান্ত অন্য একটি স্ক্রিনশটেই AM ও PM দেখা গেছে। একই অ্যাপে দুই ফর্মেটের সময় দেখানোর কোনো সুযোগ নেই, যার ফলে স্ক্রিনশটগুলো ভুয়া বলে প্রতীয়মান হয়।
২। সাধারণত মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত না থাকা কোনো নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কল আসলে সেই ফোন নম্বরের নিচে ব্যবহারকারীর নাম প্রদর্শিত হয়। তবে ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলোতে এমনটি দেখা যায়নি।
৩। কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলো ১৩ অক্টোবর ২০২৩ এর। সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপে যখন আমরা পুরোনো কথোপকথনের দিকে যাই, তখন নিচের ডান কোণে একটি ডাবল তীরের বাটন দেখা যায়। এই বাটনে ক্লিক করে দ্রুত সাম্প্রতিক কথোপকথনে ফিরে আসা যায়। তবে, ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলোতে এই বাটনটি দেখা যায়নি। এই বাটনকে “ফাস্ট স্ক্রোল বাটন” বা “কুইক স্ক্রোল টু বটম” বাটন বলা হয়।
৪। হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো ইমোজি প্রদর্শনের জন্য নিজস্ব বিশেষ ফন্ট ব্যবহার করে। আলোচ্য কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলোতে থাকা ইমোজিগুলোর সাথে হোয়াটসঅ্যাপের ইমোজির পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এর একটি সম্ভাব্য কারণ হল ফেক কথোপকথন তৈরির জন্য ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলো। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত মূল অ্যাপ্লিকেশনের ইমোজি ফন্টগুলো সঠিকভাবে অনুকরণ করতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে এমন পার্থক্য তৈরি হয়।
৫। ভাইরাল স্ক্রিনশট ও আসল হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে কিছু গঠনগত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ১৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের এই কথোপোকথনগুলোতে তারিখটি ওপরের এলাইনমেন্টের থেকে বেশ নিচে অবস্থান করছে, যেখানে হোয়াটসঅ্যাপে তারিখ সাধারণত উপরের এলাইনমেন্টের সাথে খুব সামান্য দূরত্বে থাকে।
৬। স্ক্রিনশটগুলোতে WhatsApp-এর ব্র্যান্ডিংয়ে একটি ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে। WhatsApp-এর ইংরেজি বানানে ‘WhatsApp’ শব্দের মধ্যে ‘A’ অক্ষরটি বড় হাতের অক্ষরে (Uppercase) লেখা হয়। তবে, ভাইরাল হওয়া সেই স্ক্রিনশটগুলোতে ‘WhatsApp’ শব্দের মধ্যবর্তী ‘A’ অক্ষরটি ছোট হাতের অক্ষরে (lowercase)লেখা হয়েছে, যা মূল ব্র্যান্ডের বানানের সাথে মেলে না। ফেক কথোপকথন তৈরির অ্যাপগুলো প্রাথমিকভাবে নিজেদের অ্যাপের নাম দিয়ে দেয়, যা ব্যবহারকারী পরে পরিবর্তন করতে পারে। এই ঘটনায় স্ক্রিনশট তৈরি করতে গিয়ে WhatsApp-এর ‘A’ অক্ষরটি ভুলভাবে ছোট হাতের অক্ষরে লেখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
৭। কল হিস্টরি সংক্রান্ত স্ক্রিনশটটিতে একটি কলের সময় দেখানো হচ্ছে “7:6 PM”। সাধারণত, সময় প্রদর্শনে ঘণ্টার পরে মিনিট হিসেবে দুই অঙ্কের সংখ্যা ব্যবহৃত হয়, যেমন “7:06 PM”। অবশ্য একই স্ক্রিনশটের অন্য একটি কলের ক্ষেত্রে সময় “11:09 AM” হিসেবে সঠিকভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে। এই ধরণের অসঙ্গতি সাধারণত ফেক স্ক্রিনশট জেনারেটর অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সময় ভুল ইনপুট প্রদানের ফলে ঘটে থাকতে পারে।
৮। কল হিস্টোরি সংক্রান্ত স্ক্রিনশটে প্রতিটি কল অ্যাক্টিভিটির মধ্যে একটি বিশেষ চিহ্ন (সমতল দাগ) দেখা যাচ্ছে, যা হোয়াটসঅ্যাপের বর্তমান ইউজার ইন্টারফেসের সাথে মেলে না। হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো নিয়মিত তাদের ইউজার ইন্টারফেস পরিবর্তন করে থাকে, কিন্তু ফেক কথোপকথন তৈরির অ্যাপ্লিকেশনগুলো এসব পরিবর্তনের সাথে তাল মিলাতে পারে না। এর ফলে এই ধরণের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে প্রায়ই পুরোনো ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে এই স্ক্রিনশটগুলো এমন ফেক কথোপকথন তৈরির অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি বলেই প্রতীয়মান হয়।
৯। কল হিস্টোরি সংক্রান্ত স্ক্রিনশটে ১০ জানুয়ারি তারিখে দুটি কলের রেকর্ড দেখা যাচ্ছে, যেখানে একটি কল রাত ৯:৩৪ PM এ এবং অন্যটি রাত ১:১৪ AM এ করা হয়েছে। তবে স্ক্রিনশটে রাত ৯:৩৪ PM এর কল রেকর্ডটি রাত ১:১৪ AM এর কল রেকর্ডের ওপরে দেখানো হয়েছে, যা সময়ের ক্রম অনুসারে অসঙ্গত। এমন পরিস্থিতি সাধারণত ফেক কথোপকথন তৈরির অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হলে তৈরি হতে পারে। যেখানে ইনপুট দেওয়ার ক্রম অনুসারে স্ক্রিনশটে ডেটা সাজানো হয়। এই অ্যাপগুলোতে সর্বশেষ দেওয়া ইনপুট সবার ওপরে প্রদর্শিত হয় এবং প্রথমে দেওয়া ইনপুট নিচের দিকে চলে যায়। ফলস্বরূপ যদি কেউ প্রথমে রাত ১:১৪ AM এ করা কলের ইনপুট দিয়ে তারপর রাত ৯:৩৪ PM এ করা কলের ইনপুট দেয়, তাহলে স্ক্রিনশটে রাত ৯:৩৪ এর কল রেকর্ডটি রাত ১:১৪ এর কল রেকর্ডের ওপরে দেখানো হবে।
পর্যবেক্ষণের এই পর্যায়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় যে ভাইরাল কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলো আসলে ভুয়া এবং এগুলো ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন তৈরির জন্য ডিজাইন করা একটি অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে, এই স্ক্রিনশটগুলো তৈরির জন্য ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনটি শনাক্ত করতে অনুসন্ধান শুরু করে রিউমর স্ক্যানার টিম। গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া অন্তত পাঁচটি সম্ভাব্য অ্যাপ্লিকেশন পরীক্ষা করার পর, ‘Fake Chat – Whats Prank Mock’ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন এই ভাইরাল চ্যাটগুলো তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। একই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে রিউমর স্ক্যানার টিম ভাইরাল কল হিস্টোরির স্ক্রিনশটের একটি অনুরূপ সংস্করণ তৈরি করে, যা অরিজিনালের সাথে হুবহু মিলে যায়।
এই বিষয়ে অনুসন্ধান চলাকালীন ২১ মার্চ রাত ১১:২০ নাগাদ ‘জাবিয়ানস – JnU’ins’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আলোচ্য স্ক্রিনশট নিয়ে করা সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ১২:১৭ মিনিটে এই বিষয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় ও নেটিজেনদের সচেতনের উদ্দেশ্যে রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি ফ্যাক্টচেক ব্যানার পোস্ট করা হয়। এই পোস্টের কিছু সময় পর থেকে ‘জাবিয়ানস – JnU’ins’ নামের পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মূলত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে তারই বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন। এরই মধ্যে আবু শাহেদ ইমন এবং এক নারী শিক্ষার্থীর মধ্যেকার কথোপকথনের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। তবে, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই স্ক্রিনশটগুলো ‘Fake Chat – Whats Prank Mock’ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানে ভাইরাল স্ক্রিনশটগুলোতে কান্ট্রি কোড ছাড়া নম্বর প্রদর্শন, টেক্সট টাইমের পাশে AM/PM না থাকা, হোয়াটসঅ্যাপের ইমোজি ফন্টে পার্থক্য, কল টাইম অর্ডারে AM এর পূর্বে PM প্রদর্শন, ‘কুইক স্ক্রোল টু বটম’ বাটনের অনুপস্থিতি, প্রতি কল অ্যাক্টিভিটির নিচে দাগ থাকাসহ অন্তত ১০টি অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল ২১ মার্চ বিকালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সুতরাং, ছাত্রীর সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের আপত্তিকর হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন দাবিতে ইন্টারনেটে ভাইরাল এই স্ক্রিনশটগুলো এডিটেড বা বিকৃত।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s own analysis.
- Daily Star – শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, জবি ছাত্রী ডিবিতে
- Daily Star – যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমন বরখাস্ত, চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি