বাঘের নয়, ছবিটি বিড়ালের জিহ্বার

সম্প্রতি, ‘বাঘের জিহ্বা, এতটাই শক্তিশালী যে, একটি প্রাণীর হাড় থেকে মাংস আলাদা করতে পারে।’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, প্রচারিত ছবিটি বাঘের জিহ্বার।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি বাঘের জিহ্বার নয় বরং বিড়ালের জিহ্বার ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে আলোচিত ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ছবি ও ভিডিও হোস্টিং প্লাটফর্ম মাধ্যম ফ্লিকার এর ওয়েবসাইটে ‘Mayte Vidri’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোডকৃত ছবি অ্যালবাম ‘ANIMALES Y PLANTAS’ এ ‘CAT’S TONGUE-1 / Lengua de gato – papilas’ শীর্ষক শিরোনোমে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Flickr

ছবিটির বর্ণনা থেকে জানা যায়, ছবিটি ‘Canon Digital IXUS 750’ ক্যামেরা দিয়ে ২০০৬ সালের ০৬ ডিসেম্বর তোলা হয় এবং ২০০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর আপলোড করা হয়।

ছবিটির ক্যাপশন বর্ণনায় বলা হয়, বিড়ালের জিভের ফিলিফর্ম প্যাপিলাগুলির এই ছবিটি দেখলেই বোঝা যায় কেন তারা আমাদের চাটলে এত খসখসে লাগে।

উল্লেখ করা হয় ‘এখন আপনি জানতে পারবেন কেন বিড়ালের জিহ্বা আপনাকে চাটলেএত খসখসে লাগে। ;-)’ 

তাছাড়া, বর্ণনায় একটি লিংক যুক্ত থাকতে দেখা যায়। লিংকটিতে ক্লিক করলে ‘CAT’S TONGUE -2 lengua de gato – papilas’ শীর্ষক শিরোনামে অন্য আরেকটি একটি ছবিতে নিয়ে যায়। এই ছবির বিড়ালের জিহ্বা ও চেহারার সাথে প্রথম ছবির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।

Screenshot: Flickr

এই ছবির বর্ণনা থেকে জানা যায়, ‘Canon Digital IXUS 750’ ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তোলা হয় এবং ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর আপলোড করা হয়।

অর্থাৎ, উপরিউক্ত দুটো ছবির ক্যাপশন বর্ণনা এবং সাদৃশ্য থেকে জানা যায় আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি বাঘের জিহ্বার নয়। 

সুতরাং, বিড়ালের জিহ্বার ছবিকে বাঘের জিহ্বার ছবি দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img