সম্প্রতি, চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন দাবি প্রচার করা হচ্ছে।
দাবি ১: জাতিসংঘ থেকে পুরুস্কার পেলেন নায়ক জায়েদ খান

এ দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন সময় টিভি, ঢাকা প্রকাশ, বাংলাদেশ মোমেন্টস, আরটিভি, বাংলা ভিশন, ডেইলি বাংলাদেশ (ইংরেজি), বিজয় টিভি।
দাবি ২ ও ৩ :
- নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অবস্থিত “ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ” থেকে জায়েদ খানকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে
- অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন ছিল

এ দাবিগুলোতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন এনটিভি, এবিনিউজ২৪, ঢাকা টাইমস, ডিবিসি নিউজ, দেশ টিভি, জনকণ্ঠ, চ্যানেল২৪, প্রথম আলো, জাগো নিউজ, বাংলা নিউজ২৪, আমাদের সময়, সমকাল, নয়া শতাব্দী, চ্যানেল আই, ডেইলি বাংলাদেশ, ইনকিলাব, মানবকণ্ঠ, যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, ঢাকা পোস্ট, নিউজ বাংলা২৪, দৈনিক আমাদের সময়, মানবজমিন, ঢাকা মেইল, ডেইলি ক্যাম্পাস, সাম্প্রতিক দেশকাল, বায়ান্ন টিভি, দৈনিক আজাদী, নিউজ জি২৪, বাংলাদেশ টুডে, ফ্রিডম বাংলা নিউজ, করতোয়া, বিবার্তা২৪, বিডি২৪রিপোর্ট, জুম বাংলা, কালের আলো, পদ্মা নিউজ, প্রবাসীর দিগন্ত, বাংলা ইনসাইডার , ফেইস দ্যা পিপল, আগামী নিউজ, আমার বার্তা, স্বাধীন নিউজ, বিজনেস আওয়ার২৪, শেয়ার বিজনেস, এমটি নিউজ২৪, ব্রেকিং নিউজ।

উক্ত দাবিগুলোতে গণমাধ্যমের ফেসবুক সহ অন্যান্য পেজে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন পোস্ট(আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট (আর্কাইভ), পোস্ট(আর্কাইভ)।
উক্ত দাবিগুলোতে গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখুন বিজয় টিভি, জাগো নিউজ২৪।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খানের ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার বিষয়টি সত্য হলেও এটি জাতিসংঘ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো অ্যাওয়ার্ড নয়। হিউম্যান ফোকাস ফাউন্ডেশন ও আইপিপিডিআর নামের দুইটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের সাথে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তাদের কার্যালয়ও ইউএন এর সদর দফতরে নয়। মূলত, অ্যাওয়ার্ড প্রদানের জন্যই প্রতিষ্ঠান দুইটি জাতিসংঘের সদর দফতরে একটি ভেন্যু ভাড়া করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
দাবি ১ যাচাই: জাতিসংঘ থেকে পুরুস্কার পেলেন নায়ক জায়েদ খান
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে গত ২০ জুলাই ‘WINNERS OF 2023 UNITED NATIONS HUMAN RIGHTS PRIZE ANNOUNCED‘ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করায় প্রতিষ্ঠানটি UNITED NATIONS HUMAN RIGHTS PRIZE 2023 এর জন্য নাম ঘোষণা করেছে।

প্রতিবেদনটিতে এই পুরস্কারের জন্য যে পাঁচ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খানের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ নামে জাতিসংঘের কোনো পুরস্কারও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে জায়েদ খানের একটি ফেসবুক পোস্ট (আর্কাইভ) ও গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদগুলোর সূত্রে জানা যায়, জায়েদ খানের এই পুরস্কারের সঙ্গে ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ ও হিউম্যানিটারিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন নামে দুইটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত।

অনুসন্ধানের এই পর্যায়ে রিউমর স্ক্যানার টিম প্রতিষ্ঠান দুইটি সম্পর্কে যাচাই করে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান দুইটির ওয়েবসাইটের পরিচিতিমূলক বা আমাদের সম্পর্কে অংশ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ ও হিউম্যানিটারিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন দুইটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং এদের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এছাড়া ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ নিয়ে উইকলি ব্লিটজ নামে একটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর কিছু পেশাদার ব্যক্তির উদ্যোগে এই সংগঠনটির নামে একটি ডোমেইন কেনার মাধ্যমে। যাত্রা শুরুর পর থেকে ওয়েবসাইটটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিপুলসংখ্যক মানুষকে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার দিয়েছেন। তবে এই পুরস্কারের বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানেও দেখা যায়, ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চের ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর।

তবে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেওয়া দাবি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, নায়ক জায়েদ খান ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ নামে যে অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছেন সেটি জাতিসংঘ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো অ্যাওয়ার্ড নয় এবং জাতিসংঘ সম্প্রতি এমন কোনো অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে এ জাতীয় কোনো তথ্যও অনুসন্ধানে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ ও হিউম্যানিটারিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন নামে যে দুইটি প্রতিষ্ঠান এই অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে অনুসন্ধানে তাদের সঙ্গেও জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
দাবি ২ ও ৩ :
- নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অবস্থিত “ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ” থেকে জায়েদ খানকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অবস্থিত “ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ” থেকে জায়েদ খানকে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চের কার্যালয় জাতিসংঘের সদর দফতরে অবস্থিত নয়।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হলো, ৭৩৩ থার্ড অ্যাভিনিউ, স্যুট ১৬৮৬, নিউ ইয়র্ক, এনওয়াই ১০০১৭। অপরদিকে হিউম্যানিটারিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশনের ঠিকানা হচ্ছে ৭৩৩ থার্ড অ্যাভিনিউ, নিউ ইয়র্ক, এনওয়াই ১০০১৭।

অপরদিকে জাতিসংঘের সদর দফতরের ঠিকানা সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হলো ৪০৫ ইস্ট ৪২ স্ট্রিট, নিউ ইয়র্ক, এনওয়াই, ১০০১৭।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অবস্থিত দাবি করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নয়।
তবে ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অবস্থিত হওয়ার দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটির সূত্রপাত ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চের অ্যাওয়ার্ড সংক্রান্ত ওয়েব পেইজ থেকে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওয়েব পেইজটিতে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের ভেন্যু হিসেবে জাতিসংঘ সদর দফতর ও অনুষ্ঠানের তারিখ ২০ জুলাই উল্লেখ করা রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি তাদের অনুষ্ঠানের জন্য জাতিসংঘের সদর দফতরে একটি ভেন্যু ভাড়া করেছিল।
মূলত, গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের ভেন্যুকেই ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চের কার্যালয় হিসেবে দেখিয়েছে।
- অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন ছিল
গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে ইতোপূর্বেই প্রতীয়মান হয়েছে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সাথে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়া এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটেও কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অর্থাৎ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
জায়েদ খানের ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চের অ্যাওয়ার্ড সংক্রান্ত ওয়েব পেইজ থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই জাতিসংঘের সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জন ব্যক্তিকে ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিয়েছে। এই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উক্ত অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত প্রার্থীরা কিভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন এই সম্পর্কে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে ব্লিটজের সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রো-আমেরিকানদের দ্বারা পরিচালিত এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা অর্থের বিনিময়ে সম্মাননা দিয়ে আয় করে থাকে এবং বিষয়টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রতিষ্ঠানগুলো জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করে থাকে।
প্রসঙ্গত, ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চের এই অ্যাওয়ার্ডটি জায়েদ খান ছাড়াও রাশেদ আহাম্মেদ নামে আরেকজন আমেরিকান বাংলাদেশিও পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে আমেরিকান বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
মূলত, গত ২০ জুলাই জাতিসংঘের সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জন ব্যক্তিকে ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেয় ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসি ও ডিপ্লোম্যাসি রিসার্চ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠান আয়োজনের সূত্রে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হতে থাকে যে, জায়েদ খানকে জাতিসংঘ পুরস্কার দিয়েছে। আবার কিছু কিছু গণমাধ্যমে প্রচার করা হয় যে, প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অবস্থিত এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের নিয়ে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে অনুসন্ধানে জায়েদ খানের অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার বিষয়টি সত্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও অন্যান্য বিষয়গুলো ভিত্তিহীন হিসেবেই প্রতীয়মান হয়।
সুতরাং, চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খানের জাতিসংঘ থেকে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নৈশভোজের দাবিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- UN website: WINNERS OF 2023 UNITED NATIONS HUMAN RIGHTS PRIZE ANNOUNCED
- UN website: https://www.un.org/pga/77/topic/pressreleases/
- UN Website: https://ask.un.org/faq/14362
- IPPDR: THE HUMANITARIAN PLATINUM LEADERSHIP AWARD
- Whois: https://ie.godaddy.com/whois/results.aspx?domainName=ippdr.org
- Weekly Blitz: United Nations awards Bangladesh actor Zayed Khan!
- IPPDR: About of IPPDR
- Humanitarian focus foundaon: HUMANITARIAN FOCUS FOUNDATION
- Zayed Khan Facebook Post: জায়েদ খানের একটি ফেসবুক পোস্ট (আর্কাইভ)