সম্প্রতি ‘৭১ সালে যারা দেখে নাই মা বোনদের ইজ্জত কিভাবে লু’টয়েছে হায়না জ’ঙ্গির দল ২৪ সাল তাদের কে সুযোগ করে দিয়েছে। চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার, ১নং নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন, ৯ নং ওয়ার্ড সাং পাঁচদোনা গ্রামের সন্ত্রাসীরা ধর্ষন পরে হত্যা করে, আদিবার লাশ ফেলে দায় জঙ্গলে।’ শীর্ষক শিরোনামে একজন নারীর ছবি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে৷

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিগুলো বাংলাদেশের কোনো নারীর নয় এবং ঘটনাটিও বাংলাদেশের নয়। প্রকৃতপক্ষে ছবিগুলো নিশা নামের এক ভারতীয় নারীর।
দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ‘Road Ki Rani’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ২৩ জানুয়ারির একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে সংযুক্ত ছবিগুলোর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলোর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

উক্ত পোস্টের শিরোনামে দাবি করা হয়, ভাকরা খাল থেকে নিশা সোনি (২১) নামের এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছবিগুলো এই নারীর লাশের।

উক্ত পোস্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় গনমাধ্যম News 18 এর ওয়েবসাইটে গত ২৩ জানুয়ারি ‘Himachal Woman’s Body Found In Bhakra Canal Hours After She Went Out With Policeman Friend’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ভারতের পাঞ্জাবের পাতিয়ালার ভাকরা খালে ২২ বছর বয়সী এক নারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম নিশা, হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার যোগিন্দরনগরের শেরু গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের বন্ধু যুবরাজ (৩৩) এর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
একই ঘটনায় ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকায় ‘পুলিশ-বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, পরের দিন ভাকরা ক্যানাল থেকে উদ্ধার তরুণীর দেহ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশে নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন নিশা। গত সোমবার, ২০ জানুয়ারি ফিরেছিলেন চণ্ডীগড়ে। ওই দিন সন্ধ্যায় নিজের ভাড়া বাড়ি থেকে যুবরাজের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নিশা। বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বিষয়টি। তার পর থেকেই তাঁর ফোন সুইচড অফ ছিল। অনেক চেষ্টা করেও নিশার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। তার পরেই তারা থানায় এফআইআর করে। ২১ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ভাকরা ক্যানেল থেকে নিশার দেহ উদ্ধার হয়। পরের দিন, বুধবার তরুণীর দেহ হাসপাতালে এসে শনাক্ত করে তাঁর পরিবার।
অর্থাৎ, আলোচিত ছবিগুলোর নারীটি বাংলাদেশের নয়।
সুতরাং, ভারতে খুন হওয়া নিশা নামে তরুণীর মৃতদেহের ছবিকে বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কথিত আদিবার লাশের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।