সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সেনাবাহিনীর ওপর স্যাংশন দিয়েছে জাতিসংঘ।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সেনাবাহিনীর ওপর কোনো স্যাংশন দেয়নি জাতিসংঘ বরং, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই জাতিসংঘের নামে ভুয়া দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর স্যাংশন জাতিসংঘ দিয়ে থাকলে তা গণমাধ্যমে আসতো, তবে গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, অনুসন্ধানে ব্লগস্পটের বিনামূল্যের একটি ডোমেইন সাইটে “ডেইলি নিউজ বিডি আওয়ামী লীগ” নামক একটি সাইটে গত ১৩ জানুয়ারি “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা চিঠি প্রকাশ – একটি জরুরি পরিস্থিতি*” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনটি মিথ্যা, অনুসন্ধানের মাধ্যমে খণ্ডণ করে পূর্বেই ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা সংস্করণের ওয়েবসাইটে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত ‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে এবং র্যাব বিলুপ্তির পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার সুপারিশ।’ শীর্ষক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গত বছর জুলাই-আগস্টে ঘটা হত্যাকান্ডের উপর তাদের তথ্য-অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জবাবদিহিতা ও বিচার, পুলিশ ও নিরাপত্তাসহ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সুপারিশ তুলে ধরেছে। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সেনাবাহিনীর উপর স্যাংশন দেওয়ার পক্ষে কোনো সুপারিশ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে করা হয়নি।
সুতরাং, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সেনাবাহিনীর ওপর স্যাংশন দেওয়া সংক্রান্ত প্রচারিত দাবি মিথ্যা এবং বানোয়াট।