অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও দিয়ে তামিম ইকবালের মৃত্যুর গুজব

গত ২৪ মার্চ বিকেএসপিতে খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে প্রথমে গাজীপুরের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করলে হার্টে ব্লক ধরা পড়ে এবং তাৎক্ষণিকভাবে রিং পরানো হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি, তামিম ইকবাল মারা গেছেন দাবিতে সেনাবাহিনী কর্তৃক হেলিকপ্টারে মরদেহ উঠানোর একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

উক্ত দাবিতে টিকটকে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, তামিম ইকবাল মারা যাওয়ার দাবি সঠিক নয় বরং, গত ৫ মার্চ মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ৮ বছর বয়সী শিশুটি প্রায় প্রায় আট দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। শিশুটির মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নিয়ে যাওয়ার ভিডিওকে তামিম ইকবালের মৃত্যু দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

ভিডিওটিতে থাকা মূল ধারার গণমাধ্যম বাংলাভিশন এর লোগোর সূত্র ধরে এই বিষয়ে অনুসন্ধানে বাংলাভিশন এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ মার্চ ‘সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় আছিয়ার ম’রদে’হ | Achia | Magura | Banglavision News’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটি থেকে জানা যায়, এটি ধর্ষণের শিকার হওয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আট বছরের শিশুটির মরদেহ গত ১৩ মার্চ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নিয়ে যাওয়ার সময়ের ভিডিও।

অর্থাৎ, এই ভিডিওর সাথে তামিম ইকবালের সম্পর্ক নেই।

এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে তামিম ইকবাল মারা গেছেন এমন কোনো তথ্য গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয় গত ২৭ মার্চ। তামিম ইকবালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় বাসায় ফিরে গত ২৯ মার্চ ফেসবুক একটি পোস্ট দিয়েছেন তামিম ইকবাল এবং গত ৩০ মার্চ ঈদ বার্তা পোস্ট করেন।

সুতরাং, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে মাগুরায় নেওয়ার ভিডিওকে তামিম ইকবালের লাশ দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img