পারিবারিক কলহের ভিডিও চাঁদা না দেওয়ায় ভবন মালিকের ওপর জামায়াত ক্যাডারের হামলার দাবিতে প্রচার

সম্প্রতি, কক্সবাজারের রামুতে চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার বাড়ির মালিককে বিল্ডিং থেকে ফেলে দিয়েছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু দাবি দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

এক্সে প্রচারিত দাবি দেখুন: এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার কর্তৃক বাড়ির মালিককে ভবন থেকে ফেলে দেওয়ার কোনো ঘটনার নয়। বরং, এটি চলতি বছরের মার্চে কক্সবাজারের রামুতে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাতিজা শাওন বড়ুয়া তার চাচা রনোতোষ বড়ুয়াকে ধাক্কা দিয়ে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার ভিডিও।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানে এটিএন নিউজের ইউটিউব চ্যানেলে গত ৯ মার্চ প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে জানানো হয়, রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর শ্রীকুল এলাকায় সন্তোষ বড়ুয়া ও তার সৎভাই রনোতোষ বড়ুয়ার মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের একপর্যায়ে ৮ মার্চ সকালে সন্তোষ বড়ুয়ার জাপানপ্রবাসী ছেলে শাওন বড়ুয়া তার চাচা রনোতোষ বড়ুয়াকে ধাক্কা দিয়ে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। এতে রনোতোষ বড়ুয়া গুরুতর আহত হন। এটিএন নিউজের প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।

Comparison: Rumor Scanner.

একই বিষয়ে কক্সবাজারভিত্তিক দ্য টেরিটোরিয়াল নিউজ (টিটিএন)-এর ফেসবুক পেজে ৯ মার্চ প্রকাশিত আরেকটি ভিডিও প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী রনোতোষ বড়ুয়া, তার স্ত্রী এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়। কেউই ঘটনাটির সঙ্গে কোনো জামায়াত ক্যাডারের সম্পৃক্ততার কথা বলেননি। বরং, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এটি একটি পারিবারিক বিরোধের ঘটনা।

রামুর স্থানীয় গণমাধ্যম ‘রামু খবর ২৪’-এর ফেসবুক পেজেও একই দিন এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।

সুতরাং, জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের একটি ভিডিওকে চাঁদা না দেওয়ায় জামায়াত ক্যাডার বাড়ির মালিককে ফেলে দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img