কথিত সহ-সমন্বয়কের পরকীয়া ধরা পড়ার ভাইরাল এই ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড

সম্প্রতি, রেস্টুরেন্টে বসে এক যুবক ও যুবতীর একসাথে সময় কাটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এই যুবক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক এবং তিনি প্রেমিকার সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ )। 

এক্সে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, কথিত সহ-সমন্বয়কের পরকীয়া ধরা পড়ার ভাইরাল এই ভিডিওটি বাস্তব কোনো ঘটনার নয় বরং, এটি বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা একটি অভিনীত বা স্ক্রিপ্টেড ভিডিও। এছাড়া, ভিডিওতে থাকা যুবক নিশ্চিত করেছেন, তিনি কোনো সহ-সমন্বয়ক নন।  

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে উক্ত ভিডিও থেকে কিছু স্থিরচিত্র নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে T.SadiS নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল ‘পরকীয়া প্রেমে হাতেনাতে ধরা। বন্ধু সাথে দেখা করার নামে পরকীয়া প্রেম। বাসা থেকে লুঙ্গি পরে বের হইছে যাতে ধরতে না পারি’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

উক্ত পোস্টের ক্যাপশনে উল্লেখিত ‘Bangla Funny Videos’ শীর্ষক হ্যাশট্যাগ থেকে প্রতীয়মান হয়, এই ভিডিওটি মজার ছলে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই পেজের পরিচালকই ভাইরাল এই ভিডিওটির নির্মাতা।

এছাড়াও, একই পেজ থেকে গত ১৯ জানুয়ারি ‘পুরনো ভিডিও তে লারা দিলো কে…?’ শীর্ষক ক্যাপশনে উক্ত ভিডিওটি শেয়ার করে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: T.SadiS

উক্ত পোস্টের ক্যাপশনেও ভাইরাল এই ভিডিওটিকে স্ক্রিপ্টেড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পরবর্তীতে অধিকতর অনুসন্ধানে ভিডিওতে থাকা যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করতে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে আলোচিত ভিডিওতে থাকা যুবক তারিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, “ভাইরাল এই ভিডিওটি ২০২৩ সালের। এই ভিডিওটির যুবক আমি এবং এটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিও। এটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আমি সমস্যায় আছি। আমি কোনো সহ-সমন্বয়ক না।”

সুতরাং, বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি পুরোনো একটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিওকে সাম্প্রতিক বাস্তব ভিডিও দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

  • T.SadiS: Post (1)
  • T.SadiS: Post (2)
  • Statement from Tarikul Islam
  • Rumor Scanner’s Own Analysis

আরও পড়ুন

spot_img