৫০০০ হাজার বছরের পুরোনো এবং পিরামিডের পাথর দাবিতে প্রচারিত ছবিটি লেবাননের  

সম্প্রতি একটি বিশালাকৃতির পাথরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে “পাথরটি ৫০০০ বছরের পুরোনো এবং পিরামিডে ব্যবহৃত প্রায় দুই মিলিয়ন পাথরের মধ্যে একটি এই পাথরের ব্লকটি!”  

ফেসবুকে প্রচারিত এমন ছবি দেখুন আর্কাইভ (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ছবির পাথরটি ৫০০০ বছরের পুরোনো কিংবা মিসরের পিরামিডে ব্যবহৃত পাথর নয় বরং, এটির বয়স ২০০০ বছর এবং পাথরটির সাথে পিরামিডের কোনো সম্পর্ক নেই।

দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Smithsonian Magazine-এর ওয়েবসাইটে ২০১৪ সালের ০৩ ডিসেম্বর ‘The Largest Manmade Block Ever Was Just Discovered in Lebanon’ শিরোনামে আলোচিত ছবিসহ একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

Screenshot: Smithsonian Magazine

এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জার্মান এবং লেবাননের প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় কৃত্রিম পাথরের খনি আবিষ্কার করেছে লেবাননের বালবেকে। গিজমোডোর প্রতিবেদন অনুসারে, এই ব্লকটির মাপ ৬৪ ফুট বাই ১৯.৬ ফুট বাই ১৮ ফুট এবং ওজন আনুমানিক ১,৬৫০ টন।ব্লকটি প্রায় ২০০০ বছর আগের, অর্থাৎ ২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। তবে, এই পাথর এবং অন্যান্য পাথর কখনও খনি থেকে বের করতে পারেনি, সম্ভবত কারণ এটি পরিবহনের জন্য খুব বেশি ভারী ছিল।  

একই বিষয়ে ২০১৪ সালে প্রকাশিত ডিসকভারির ‘Largest Stone Block From Antiquity Found’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন থেকেও আলোচিত পাথরটির বয়স সম্পর্কে একই তথ্য পাওয়া যায়। 

উল্লেখ্য, মিশর এবং লেবানন দুটি ভিন্ন মহাদেশে অবস্থিত এবং পিরামিডের বয়স আনুমানিক ৫০০০ বছর এবং আলোচিত পাথরটির বয়স প্রায় ২০০০ বছর। 

সুতরাং, লেবাননে খুঁজে পাওয়া প্রায় ২০০০ বছরের পুরোনো পাথরকে ৫০০০ বছর পুরোনো এবং পিরামিড তৈরিতে ব্যবহৃত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img