গত ১৪ মে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় যান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যসহ একটি দল। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করার সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এরই প্রেক্ষিতে, ‘মাহফুজ আলমের দিকে বোতল ছুঁড়েই পেল বসুন্ধরার ফ্ল্যাট-আনভীরের পুরস্কার ঘোষণা! অতিসত্বর যোগাযোগের আহবান!’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে বোতল ছুঁড়ে মারা ব্যক্তিকে বসুন্ধরায় ফ্লাট উপহারের ঘোষণা দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টিভির একটি ফটোকার্ড নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো রয়েছে তবে এটি প্রকাশের তারিখ উল্লেখ নেই।
যমুনা টিভির লোগোর সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, যমুনা টিভির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে যমুনা টিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডেলগুলো থকে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ছবি ও ফন্ট ডিজাইনের সাথে অমিল খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, যমুনা টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, “মাহফুজ আলমের দিকে বোতল ছুঁড়েই পেল বসুন্ধরার ফ্ল্যাট-আনভীরের পুরস্কার ঘোষণা! অতিসত্বর যোগাযোগের আহবান!” শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Jamuna Television: Facebook Page
- Jamuna TV- YouTube Channel
- Jamuna Television- Website