সম্প্রতি, ‘ত্রানের ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ নিয়ে একে অপরকে দুষছেন সমন্বয়ক হাসনাত ও সার্জিস’ শীর্ষক শিরোনামে বেসরকারি ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম যমুনা টেলিভিশন এর লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘ত্রানের ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ নিয়ে একে অপরকে দুষছেন সমন্বয়ক হাসনাত ও সার্জিস’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যম যমুনা টিভি কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি এবং হাসনাত ও সারজিসও একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় যমুনা টিভির লোগো ব্যবহার করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনা টিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যমুনা টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া, আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে যমুনা টিভি কর্তৃক প্রচারিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। পাশাপাশি ফটোকার্ডের শিরোনামে ত্রাণ বানানেও ভুল পাওয়া যায় যেখানে, ‘ত্রাণের’ পরিবর্তে ‘ত্রানের’ লেখা হয়েছে।
একে অপরকে দোষারোপ করেছেন কিনা এই বিষয়ে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবিটি ভুয়া বলে রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন।
সুতরাং, ‘ত্রানের ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ নিয়ে একে অপরকে দুষছেন সমন্বয়ক হাসনাত ও সার্জিস’ শীর্ষক শিরোনামে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner’s Own Analysis
