বৃহস্পতিবার, মে 22, 2025

পহেলা বৈশাখের মোটিফের সাথে মিল থাকা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসকে জড়িয়ে যমুনা টিভির নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার

বাংলা বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক প্রতিকৃতি ও নানা ধরনের মোটিফ দেখতে পাওয়া যায়। এরই প্রেক্ষিতে “মোটিফের সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অবিকল মিল। কারিগরকে গ্রেফতারের নির্দেশ” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে  (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পহেলা বৈশাখে শেখ হাসিনার ব্যাঙ্গাত্মক মোটিফের সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মিল নেই ও কারিগরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়নি এবং যমুনা টিভিও এমন দাবিতে কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টিভির একটি ফটোকার্ড নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো রয়েছে এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৪ এপ্রিল, ২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে। 

যমুনা টিভির লোগো এবং তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, যমুনা টিভির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে যমুনা টিভির আসল ফটোকার্ড পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্ট ডিজাইনের সাথে এর অমিল খুঁজে পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

অর্থাৎ, যমুনা টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।

পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি। 

সুতরাং, ‘মোটিফের সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অবিকল মিল। কারিগরকে গ্রেফতারের নির্দেশ’’ শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img