সম্প্রতি, ‘গাজীপুরে মব ভায়োলেন্সে ইমাম হত্যার যন্ত্রণা সইতে না পেরে ধর্ম-উপদেষ্টা আত্মহত্যা করেছে’ শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুরে মব ভায়োলেন্সে ইমাম হত্যার যন্ত্রণা সইতে না পেরে ধর্ম-উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আত্মহত্যা করেছেন শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভি কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে যমুনা টিভির একটি ফটোকার্ড নকল করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে যমুনা টিভির লোগো ও প্রকাশের তারিখ ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ উল্লেখ রয়েছে।
যমুনা টিভির লোগো ও তারিখের সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবিসম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও, যমুনা টিভির ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির পক্ষে কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে যমুনা টিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হ্যান্ডেলগুলো থকে প্রচারিত ফটোকার্ডের ডিজাইন পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ছবি ও ফন্ট ডিজাইনের সাথে অমিল খুঁজে পাওয়া যায়।

অর্থাৎ, যমুনা টিভি এমন কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি।
পাশাপাশি, আলোচিত দাবি সমর্থিত কোনো তথ্য অন্য কোনো গণমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, “গাজীপুরে মব ভায়োলেন্সে ইমাম হত্যার যন্ত্রণা সইতে না পেরে ধর্ম-উপদেষ্টা আত্মহত্যা করেছে” শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Jamuna Television: Facebook Page
- Jamuna TV- YouTube Channel
- Jamuna Television- Website