বিগত কয়েক বছর ধরে “ভোট চুরি করে দেশ চালাতে পারলে থিসিস চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে সমস্যা কোথায়?” শীর্ষক মন্তব্য সিনিয়র সাংবাদিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক সামিয়া রহমান করেছেন দাবিতে উক্ত তথ্য সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং এক্স (সাবেক টুইটার) এ প্রচার করা হয়েছে।

২০২১ সালে উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

২০২১ সালে এক্স (সাবেক টুইটার) এ উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

২০২৪ সালে উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধনে জানা যায়, সিনিয়র সাংবাদিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক সামিয়া রহমান আলোচিত মন্তব্যটি করেননি বরং কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই উক্ত মন্তব্যটি তার নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার হয়ে আসছে।
গুজবের সূত্রপাত
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Basherkella – বাঁশেরকেল্লা নামক এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি ইন্টারনেটে প্রকাশিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি খুঁজে পাওয়া যায়।

অনুসন্ধানের এ পর্যায়ে আলোচিত দাবির প্রেক্ষিতে সামিয়া রহমানের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং দেশিয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য সামিয়া রহমানের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
“ভোট চুরি করে দেশ চালাতে পারলে থিসিস চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে সমস্যা কোথায়?” শীর্ষক মন্তব্য তিনি করেছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনার কি মনে হয় এই জাতীয় লেখা আমি লিখবো? বিএনপি-জামাত কেউ এই কাজটা করেছে।”
তিনি আরও বলেন,”আমার ফেসবুক অথরাইজড। কোথাও কি এই জাতীয় হাস্যকর লেখা পোস্ট হয়েছে কোনোদিন? পাবলিকের কাজ নাই তাই এই সব ফাজলামি করে। আমার তাতে কিছু এসে যায়না।”
অর্থাৎ, আলোচিত মন্তব্যটি সামিয়া রহমান করেননি।
মূলত, ২০২১ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্লাটফর্মে “ভোট চুরি করে দেশ চালাতে পারলে থিসিস চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে সমস্যা কোথায়?” শীর্ষক মন্তব্যটি সিনিয়র সাংবাদিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক সামিয়া রহমান করেছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হচ্ছে। তবে রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সামিয়া রহমান আলোচিত মন্তব্যটি করেন নি। সামিয়া রহমান বিষয়টি রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন।
সুতরাং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষক সামিয়া রহমান“ভোট চুরি করে দেশ চালাতে পারলে থিসিস চুরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে সমস্যা কোথায়?” শীর্ষক মন্তব্য করেছেন উল্লেখ করে ইন্টারনেটে প্রচারিত দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Samia Rahman – Facebook Account
- Statement from Samia Rahman
- Rumor Scanner’s own analysis