সম্প্রতি, “প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়া সেই নেতাকে বহিষ্কার করল ছাত্রশিবির” শীর্ষক শিরোনামে তরুণ-তরুণীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সম্বলিতমূলধারার গণমাধ্যম আজকের পত্রিকার ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়া সেই নেতাকে বহিষ্কার করল ছাত্রশিবির’ শীর্ষক শিরোনামে আজকের পত্রিকার প্রকাশিত ফটোকার্ড ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে ফটোকার্ডটিতে থাকা ছবি পরিবর্তন করে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো রয়েছে। তবে এর প্রকাশের তারিখ উল্লেখ নেই।
আজকের পত্রিকার লোগোর সূত্র ধরে গণমাধ্যমটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে গত ১৫ মার্চ প্রকাশিত আলোচিত দাবিসম্বলিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডটির সাথে এই ফটোকার্ডটির ছবি ব্যতীত বাকি অংশের হুবহু মিল রয়েছে।

অর্থাৎ, আজকের পত্রিকার এই ফটোকার্ডটির ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
ছবি যাচাই
আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ফেসবুকে একটি ভারতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবি সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ছবির মিল রয়েছে।
এছাড়া ইনস্টাগ্রামে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে বোঝা যায় যে উক্ত ছবিটি এই ভিডিও থেকেই নেয়া। তবে উক্ত ভিডিওর ঘটনাটি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায় নি।

উক্ত ছবি দুইটি বিশ্লেষণ করে প্রচারিত ছবির ব্যক্তির চেহারার সাথে শিবির নেতার চেহারারও মিল খুঁজে পাওয়া যায় নি।
সুতরাং, ‘প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়া সেই নেতাকে বহিষ্কার করল ছাত্রশিবির’ শীর্ষক শিরোনামে তরুণ-তরুণীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি সম্বলিত আজকের পত্রিকার নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি এডিটেড বা সম্পাদিত।
তথ্যসূত্র
- Ajker Patrika – Facebook Post
- Rumor Scanner’s analysis