ধানমন্ডি ৩২-এ আ.লীগ সন্দেহে এক নারীকে গণপিটুনি দেওয়ার ভিডিওকে শাহবাগে নতুন দলের নেত্রীকে হেনস্তা দাবিতে প্রচার 

সম্প্রতি ‘নতুন দলের নেত্রী শাহবাগে গ,ণধো,লাই এর শিকার হয়েছে’ শীর্ষক শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো নতুন দলের নেত্রীকে হেনস্তার নয় বরং, এটি চলতি বছরের ০৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগ সন্দেহে এক নারীকে গণপিটুনি দেয়ার ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে অনলাইন সংবাদমাধ্যম Dhaka Post এর ইউটিউব চ্যানেলে চলতি বুছরের ০৬ ফেব্রুয়ারিতে ‘ধানমন্ডি ৩২-এ আওয়ামী সন্দে’হে নারীকে গণ’পি’টু’নি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির সাদৃশ্য পাওয়া যায়। 

উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ওয়েবসাইটে একই তারিখে অর্থাৎ ০৬ ফেব্রুয়ারিতে (২০২৫) ‘৩২ নম্বরে নারীসহ দুজনকে পিটুনি’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ০৬ ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলায় এক নারীসহ দুইজনকে পিটুনি দিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। মূলত ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় ও আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলায় তাদের পিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরে চলতি বছরের ০৫ ফেব্রুয়ারি (২০২৫) রাতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দিনভরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা চলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক ছাত্র-জনতা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফেসবুকে ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন। এরই প্রেক্ষিতে একপর্যায়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। 

অর্থাৎ, চলতি বছরের শুরুতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলায় এক নারীকে গণপিটুনি দেওয়ার দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন দলের নেত্রী শাহবাগে গণধোলাইয়ের স্বীকার হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img