সম্প্রতি, বন্যা পরবর্তী সময়ে কুমিল্লায় একই পরিবারের ৭ জন বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ফেসবুকে পোস্ট (আর্কাইভ) করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি বরং, গতকাল (২৭ আগস্ট) মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন।
আলোচিত দাবিটির সূত্রপাতের বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুক মনিটরিং টুল ব্যবহার করে গত ২৬ আগস্ট ‘Visual Story’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। তবে, উক্ত পোস্টে এই দাবিটির পক্ষে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। সেদিন কুমিল্লায় এমন কোনো ঘটনার খবর গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রেও উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে কুমিল্লার স্থানীয় সাংবাদিক ও কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাথে যোগাযোগ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।
ইনডিপেনডেন্ট টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি তানভীর দীপু বলেন, এরকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি৷ বাংলা ট্রিবিউন এর কুমিল্লা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মারুফও একই তথ্য জানান।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে বলেন, এরকম কোনো দুর্ঘটনার তথ্য আমরা পাইনি৷ সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লায় এমন কিছু ঘটেনি।
কুমিল্লায় বা সম্প্রতি কোথাও একই পরিবারের সাত সদস্যের মৃত্যুর খবর পাওয়া না গেলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর এসেছে। ২৫ আগস্ট টাঙ্গাইলে এক দম্পতি, ২৬ আগস্ট নোয়াখালীতে এক শিক্ষার্থীসহ তিনজন, একইদিন চাঁদপুরে দুই ভাই, সেদিনই লক্ষ্মীপুরে এক নারী এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এর সবই বন্যা সম্পর্কিত ঘটনা নয়।
সুতরাং, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কুমিল্লায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যুর দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Local Journalists- Statement
- Cumilla Fire Service and Civil Defence- AD Statement
- Rumor Scanner’s Own Analysis