সম্প্রতি “সুবহানাল্লাহ,আল্লাহর কি অপরুপ খেলা!!কবরে লাশ রাখার পরেই হয়ে উঠে জীবিত,ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো অনেকেই, অলৌকিক ঘটনা।” শীর্ষক শিরোনামের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত ভিডিওতে কবরে লাশ রাখার পর জীবিত হয়ে উঠার কোনো ঘটনা ঘটে নি বরং ভিডিওর ক্যাপশনে চটকদার শিরোনাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটি ৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও। ভিডিওতে একজন মৃত মানুষকে কবর দেয়া হচ্ছে। ভিডিওর এক মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময়ে মৃত মানুষকে কবরে নামাতে দেখা যায়। যাবতীয় নিয়মকানুন শেষ করে ভিডিওর ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময়ে মাটি দেয়া শুরু করা হয়। ভিডিওর বাকি সময়ে মৃত ব্যক্তিকে পুরোপুরি কবর দেয়া হয়।
তবে পুরো ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওর কোথাও মৃত ব্যক্তিকে জীবিত হয়ে উঠার কোনো ঘটনা দেখা যায় নি।
এছাড়াও, ভিডিওর কমেন্টবক্স পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওটি যারা দেখেছেন তারাও চটকদার ক্যাপশন নিয়ে কমেন্ট করেছেন।
মূলত, ভিডিওটি একজন মৃত মানুষকে কবর দেয়ার ভিডিও। পুরো ভিডিওর কোথাও মানুষটি জীবিত হয়ে উঠার কোনো ঘটনা ঘটে নি। কিন্তু ভিডিওটিতে মৃত মানুষ জীবিত হয়ে উঠার চটকদার ক্যাপশন ব্যবহার করে প্রচার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও মানুষকে কবর দেয়ার ভিডিওতে মিথ্যা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। উক্ত বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।
সুতরাং, মৃত মানুষকে স্বাভাবিকভাবে কবর দেয়ার ভিডিওকে লাশ জীবিত হয়ে উঠার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- রিউমর স্ক্যানার টিমের নিজস্ব অনুসন্ধান।
- রিউমর স্ক্যানার : ইন্দোনেশিয়ায় লাশ দাফনের সময় অলৌকিক আলোর উপস্থিতির তথ্যটি বিভ্রান্তিকর