গতকাল ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (চাকসু)। গত রাত থেকেই হল ভিত্তিক ফলাফলগুলো প্রকাশ করা হচ্ছিল যা আজ ভোরে সমাপ্ত হয়। এর প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেনের বিষয়ে দাবি করা হয়, প্রীতিলতা হলে মো. ইব্রাহিম পেয়েছেন ১২৩০ ভোট এবং সাজ্জাদ পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট।

এমন দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ইন্সটাগ্রামে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে।
থ্রেডসে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চাকসু নির্বাচনে প্রীতিলতা হলে মো. ইব্রাহিমের ১২৩০ ও সাজ্জাদের ৫৩৪ ভোট পাওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বরং এই হলে মো. ইব্রাহিম ৫৮১ ও সাজ্জাদ পেয়েছেন ২৮৩ ভোট।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজ এর ওয়েবসাইটে চাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিপি পদে প্রীতিলতা হলে শিবিরের প্রার্থী মো. ইব্রাহিম ৫৮১ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে একই হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ পেয়েছেন ২৮৩ ভোট।
এছাড়া, অনলাইন সংবাদমাধ্যম রাইজিং বিডি এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকেও শিবির ও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীদের প্রীতিলতার হলে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা নিয়ে একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, প্রীতিলতা হলে মো. ইব্রাহিম ১২৩০ নয়, পেয়েছেন ৫৮১ ভোট এবং সাজ্জাদ ৫৩৪ নয়, পেয়েছেন ২৮৩ ভোট।
সুতরাং, চাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রীতিলতা হলে ইব্রাহিম-সাজ্জাদ এর প্রাপ্ত ভোট নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Khaborerkagoj: চাকসুতে ভিপি-জিএস পদে শিবির, এজিএসে ছাত্রদল এগিয়ে
- Risingbd: চাকসুর ভিপি-জিএস শিবিরের, এজিএস ছাত্রদলের