সম্প্রতি “৫০৪ কোটির হল কাজে আসছে না” শিরোনামে বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নিয়ে প্রথম আলোর ব্যানার দেখুন এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে,এখানে, এখানে ও এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ১০০ আসনের ছাত্রী হল নির্মাণের বিষয়টি সত্য নয় বরং ছাত্রী হল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানের মাধ্যমে দেখা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে ‘৫০৪ কোটির হল কাজে আসছে না’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে ছাত্রীদের আবাসন-সুবিধা বাড়াতে নতুন একটি হল নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হল কোনো কাজে আসছে না। কারণ, সেখানে ছাত্রীরা থাকেন না। সেখানে সংসার পেতেছেন কলেজের কর্মচারীরা। এ ছাড়া ছাত্রলীগ ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের জেরে ১৩ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কলেজের ছাত্রদের ৩টি আবাসিক হল। এতে আবাসন সংকটে রয়েছেন কলেজের ছাত্ররাও।
কিন্তু পরবর্তীতে প্রথম আলো তাদের ওয়েবসাইট থেকে ‘৫০৪ কোটির হল কাজে আসছে না’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয়।
পাশাপাশি প্রতিবেদনটিকে সংশোধন করে “৫ কোটি টাকার হল কাজে আসছে না” শীর্ষক শিরোনামে প্রতিবেদনটি পুনরায় প্রকাশ করে।
এই প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজে ছাত্রীদের আবাসন–সুবিধা বাড়াতে নতুন একটি হল নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। ৫ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হল কোনো কাজে আসছে না। কারণ, সেখানে ছাত্রীরা থাকেন না। সেখানে সংসার পেতেছেন কলেজের কর্মচারীরা।
অর্থাৎ আগের প্রতিবেদনটিতে গণমাধ্যমটি ৫ কোটির পরিবর্তে ৫০৪ কোটি কোটি টাকা লিখে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যা পরবর্তীতে সংশোধন করে গণমাধ্যমটি অনলাইন সংস্করণ হতে মুছে ফেলে এবং বিষয়টি নিয়ে সংশোধিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
মূলত, আজ ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক ‘প্রথমআলো’ এর অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে ‘৫০৪ কোটির হল কাজে আসছে না’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। তবে হল নির্মাণ কাজে ব্যয়ের পরিমাণ নিয়ে প্রথমআলোতে প্রচারিত তথ্যটি অতিরঞ্জিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রথমআলো কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে উক্ত প্রতিবেদনটি তাদের অনলাইন সংস্করণ হতে মুছে ফেলে এবং বিষয়টি নিয়ে সংশোধিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে আলোচিত হল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।
সুতরাং, ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ১০০ আসনের ছাত্রী হল নির্মাণের বিষয়টি সত্য নয়, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
Daily Prothom Alo: ৫ কোটি টাকার হল কাজে আসছে না